বর্তমান সমাজের মানুষদের তাদের জীবনে ঝুঁকি গ্রহণ করার প্রবণতা বেশ ভালই নজরে পড়ে। তার পরবর্তী ফলাফল বা নিরাপত্তা নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না। তাদের কাছে এগুলি এক একটি চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তবে মাঝে মাঝে এই ঝুঁকি গুলির পাশাপাশি মানুষ না চাইতেই চলে আসে আরও কিছু ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা। এইসব অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি গুলি বর্তমান তথা ভবিষ্যতের যে ক্ষতিসাধন করে তা বলাই বাহুল্য। তাদের নিরাপত্তার হাল খুঁজতে খুঁজতেই লেগে যায় বেশ কিছুটা সময়। এই সময়টুকুর মধ্যেই অনেকের জীবন ক্ষতির মুখে পড়ে । আধুনিক যুগে প্রযুক্তির কবলে পড়ে আমাদের অনেককেই অগ্ৰহণযোগ্য ঝুঁকি র সম্মুখীন হতে হয়। সাইবার সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও প্রায়শই আমাদের কানে আসে সাইবার বুলিং সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনা। হতে পারে তা ঘটে আমাদের কোনো আত্মীয়-স্বজন বা বাড়ির কোন সদস্যদের সাথে, আবার হতে পারে সেই ঘটনা ঘটে আমাদের সাথেও। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে হয়রানি হওয়ার ঘটনা আমাদের কাছে কোন নতুন ঘটনা নয়। বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া, মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম, গেমিং প্ল্যাটফর্ম অথবা স্মার্টফোনের মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখানো, বিব্রত করা এখন নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এটির নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও তার ব্যবহারিক মাত্রা খুবই কম।
সাম্প্রতিক আলোচনা চলছে হুয়ায়েই নামক একটি চীনা টেলিকম যন্ত্র কে কেন্দ্র করে। উন্নত দেশ নামা খ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা হুয়ায়েই জেডটিই এর মতো আরও বেশ কয়েকটি চিনা ব্র্যান্ডের প্রস্তুত করা টেলিযোগাযোগ ও ভিডিও নজরদারি সরঞ্জাম পঞ্চম প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকারক, পঞ্চম প্রজন্মের ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক এ ঢুকে স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহের জন্য এই সরঞ্জাম গুলি ব্যবহার করা যেতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। হুয়ায়েই ও চিন সরকার দীর্ঘদিন ধরে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও নিরাপত্তার ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় যোগাযোগ কমিশন হুয়ায়েই ও জেডটিই সহ আরো পাঁচটি চিনা টেলিকম যন্ত্র এবং ভিডিও নজরদারি সরঞ্জামকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে। গত শুক্রবার `জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি’, উল্লেখ করে সরঞ্জামগুলিকে নিষিদ্ধ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।