সারা বাংলা জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। গোটা দেশেই এক সপ্তাহ আরো গরম পড়বে এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।।আগামী কয়েকদিনে আরো বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র গরমের জেরে বিপাকে উত্তরবঙ্গ বাসী। আপাতত চার পাঁচ দিন তীব্র গরমের দাবদাহ পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
এই প্রচন্ড গরমের কারণে চারিদিকে জল শুকিয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে জল সংকটের হাহাকার অবস্থা। ভারতে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ তীব্র জল সংকটের শিকার হচ্ছে ।দেশে জলের যে চাহিদা ৪০ শতাংশ মেটায় ভূগর্ভস্থ জল । ভারতেই সবচেয়ে বেশি ভূগর্ভস্থ জল তোলা হয়। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে বাড়ছে প্রবল জল সংকট । তীব্র তাপদহে উত্তরবঙ্গে নদী ও পুকুরের জল মাত্রাতিরিক্ত উষ্ণ হয়ে উঠেছে।গত তিন, চারদিন ধরে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং জেলা এবং শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ে ওই দৃশ্য চোখে পড়েছে।তীব্র গরমের ফলে চারিদিকের পুকুর নদী নালার জল শুকিয়ে যাচ্ছে ও মাছগুলি মরে ভেসে উঠছে।মৎস্যচাষিদের একাংশ পাম্প মেশিনে জল তুলে পুকুরে ফেলে মাছ রক্ষার চেষ্টা করলেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না।যেভাবে ক্রমশ তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে মাছ রক্ষা করা সম্ভব হবে না।” আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার থেকে উত্তরে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই বেড়েই চলেছে।
রাজ্য সরকারের পুরস্কারপ্রাপ্ত কোচবিহারের মৎস্যচাষি লক্ষ্মীকান্ত বর্মন তিনি বলেন এই পরিস্থিতেও পুকুরে ঠান্ডা জল ঢেলে দিলেও কিছুক্ষণের মধ্যে একই অবস্থায় এক ফিরে আসছে, কাতলা, মৃগেলের চারাপোনা ভেসে উঠছে। ওই পরিস্তিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছের ডিম ফুটিয়ে চারা তৈরির হ্যাচারিগুলো।লক্ষ্মীকান্তবাবু আরো বলেন, “আমার নিজের ১২ টি পুকুর। জেলায় পাঁচ শতাধিক পুকুরে মাছ চাষ হয়ে থাকে। এখান থেকে রুই, কাতলা, মৃগেল, চিতল মাছ উত্তরের বিভিন্ন বাজারে যায়। এবার দুই দফায় তাপদহে মাছ মরে জলে ভাসছে। ওই পরিস্থিতিতে উৎপাদন বন্ধের পথে।”
এই ভাবে তাপ বাড়তে থাকলে যতটুকু জল রয়েছে তা রোদে ফুটছে। এর ফলে নদীর মাছ সহ জলজ উদ্ভিদ ও অন্য প্রাণী নষ্ট হতে বসেছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। এর ফলে নদীগুলিতে বাস্তুতন্ত্রের সমস্যা বাড়বে। প্রচুর মৎস্যজীবী বিপাকে পড়বেন।”