একসাথে অনেকগুলি বাংলা সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে। তবে এই রেসে উপস্থিত নেই প্রসেনজিৎ “আয় খুকু আয়”, বেশকিছুদিন ছবি মুক্তির দিন পিছিয়ে গেল। প্রসেজিৎ সিনেমা মানেই দর্শকদের তুমুল উত্তেজনা। তবে এবার বাড়তি উত্তেজনা তার লুক। ‘আয় খুকু আয়’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ২৭মে, ছবির মুক্তি পিছিয়ে যা হয়ে গেল ১৭ জুন। ছবিতে বাবা ও মেয়ের রসায়ন দেখে ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনজয় করে নিয়েছেন প্রসেনজিৎ ও দিতিপ্রিয়ার জুটি।প্রসেনজিত দিতিপ্রিয়া ছাড়াও এই ছবিতে প্রসেনজিতের সাথে প্রথমবার জুটি বাঁধতে চলছেন মন্টু পাইলট অভিনীত মিথিলা।
ছবিটি মুক্তির দিন বদলানো নিয়ে ছবির পরিচালক সৌভিক কুণ্ডুর সাথে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আলোচনা করেই ছবির দিন বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভিন্ন ছবির ভিড়ে একটি ছবি ওপর ছবিকে টেক্কা দেওয়া বা লড়াইয়ে নামালে অবশেষে বাংলা ছবিরই ক্ষতি। ২৭ মে “আয় খুকু আয়” সিনেমাটি ছাড়াও সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল আরও তিনটি ছবি, ‘শবর’, ‘চিনেবাদাম’ এবং ‘ভয় পেও না’। ফলে বক্স অফিসে বাংলা ছবির জোরদার টক্কর হতে চলেছে। সেই কারণেই কি এই ছবির মুক্তির দিন পিছিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত? যদিও প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, তিনি কোনোদিনই লড়াইয়ে বিশ্বাসী নন। বাংলা ছবির গ্রাফিক্স নিয়েও নানা আলোচনা চলে, তাই এক্ষেত্রে কোনরকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না পরিচালক সৌভিক কুন্ডু। করোনা আবহে মহামারীর জেরে প্রেক্ষাগৃহগুলি বন্ধ ছিল, আর এই এখন পরিস্থিতি কিছুটা হাতে আসতে পরপর প্রেক্ষাগৃহে একটার পর একটা ছবি মুক্তি পাচ্ছে। যা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির কাছে খুবই বড় সুখবর।
পরিচালক সৌভিক কুণ্ডু সংবাদ মাধ্যমে জানান যে, ছবি পিছিয়ে যাওয়াটা পুরোপুরি টেকনিকাল কারণ, এটা বলতে কোনরকম দ্বিধাবোধ করেননি পরিচালক। কারণ তিনি চেয়েছিলেন সবকিছু যেন নিখুঁত হয়। প্রসেনজিতের প্রস্থেটিক মেকআপে কোনওভাবেই যেন খুঁত ধরা না পরে সেকথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন “আয় খুকু আয়ের” টিম। গ্রাফিক্সের কাজ নিপুণভাবে সম্পূর্ণ করে তবেই মুক্তি পাবে ছবি। তাই কিছুদিন সময় নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যেহেতু ছবিটি বাবা-মেয়ের সম্পর্কের গল্প তাই ফাদার্স ডের সপ্তাহেই ছবি মুক্তির প্ল্যানিং করেছেন পরিচালক।