গত দু বছরের টানা লড়াইয়ের অবসান। শেষ মৃত্যু মিছিলও। গত সপ্তাহের নিরিখে কোভিড আক্রান্তে মৃতের সংখ্যা শূন্য তে বিরাজ করছে। এমত পরিস্থিতিতে বেহালার পর্ণশ্রীতে বিবেকানন্দ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডগুলোর বন্ধ দরজা যুদ্ধ জয়েরই আভাস দিচ্ছে। কোভিড ওয়ার্ডগুলি বন্ধ হতে, হাসপতালে আগত রোগী থেকে শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কর্মচারী, এবং চিকিৎসক সবাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে।
এদিন কোভিড জয়ের প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বেহালা কলেজের সাংবাদিকরা কথা বললে হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার এস এন সোম জানান, “বিশেষ প্রযুক্তি না থাকার জন্য কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে আমরা কোনো কোভিড আক্রান্তকে হাসপতালে রাখতে পারিনি, তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্স এর দ্বারা কোভিড ওয়ার্ড যুক্ত হাসপতালে পাঠানো হতো, তবে পরবর্তীকালে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে একটি কোভিড ওয়ার্ড বানানো হয় এবং যাদের অবস্থা খুবই বিপন্ন তাদের শুশ্রুষা করা হয়।” যদিও গোপন সূত্রে খবর, প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির অভাবে খুব বেশি আক্রান্তদের চিকিৎসা সম্ভব হয়নি।
হাসপাতালে আগত রোগী সূত্রে খবর, আইসলেশন ওয়ার্ড তৈরির পর সীমিত সময়ের জন্য বন্ধ ছিল হাসপাতালের আউটডোর। তাই সেই সময় হয়রানির শিকার হন সাধারণ মানুষ। তবে কোভিড ওয়ার্ড শূন্য হওয়ার পর এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক।এই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ও করোনা বিধি মানার কোনো প্রয়োজনীয় আছে কিনা সেবিষয়ে জানতে চাইলে হাসপালের জেনারেল ম্যানেজার জানান, ” ইনফ্লুয়েঞ্জা মতোই করোনা এক ধরনের ভাইরাস কিন্তু ভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট, তাই এটা কখনোই শেষ হয়ে যাবে না, আমাদের এটার সাথেই থাকতে হবে। মাস্ক সর্বদাই ব্যবহার করা প্রয়োজনীয়।” তিনি আরো বলেন, ” যেভাবে প্রতিবছর বয়স্কদের ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, তেমনি করোনা জন্য হয়তো প্রতিবছর বুস্টার ডোজ দেওয়া হতে পারে”। এই পরিস্থিতিতে সবাই সাধারণ জীবনযাপন ফিরে পেয়েছে ঠিকই, তবে কখনোই সচেতনতা হারিয়ে গেলে চলবে না।