বছরের অধিকাংশ সময় বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম গুলির উপর বিভিন্ন প্রশ্নের আঙুল ওঠার সথে সাথে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে ও পৌঁছায় বিভিন্ন অভিযোগ। বেসরকারি হাসপাতালের নিয়মের ফলে বিপদে পড়তে হয় প্রায় বহু রুগির পরিবারকে, এই কথাটি মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দপ্তর ‘ ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেশন অ্যাক্ট-২০২২’ নামক এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করে।
রোগীদের স্বার্থের জন্য এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করলেও এখন পর্যন্ত এটি কতটা সফলতা অর্জন করেছে সেটি প্রশ্নের মুখে। এই বিধির মধ্যে ছিল একাধিক নিয়মাবলী। এই নিয়মাবলী গুলি বাস্তবায়িত করার আগে স্বাস্থ্য দপ্তর রাজ্যের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম গুলির কর্তৃপক্ষের সাথে সোমবারে বৈঠকে বসেন।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যের অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য এবং বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে চিকিৎসার খরচ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ কমিটির একাধিক সদস্যেরা।
এদিনে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না হলেও এক মাসের মধ্যে বেসরকারি নার্সিং হোম ও হাসপাতাল গুলিকে তাদের মতামত জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তর।একাধিক প্রশ্নের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রশ্ন আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
যেমন, রাতে খুব জরুরি অবস্থায় কোনও রোগী ভর্তি হলে একটি আনুমানিক খরচের ভিত্তিতে ২৫ শতাংশ জমা নেওয়া যাবে এবং তা ৫০ হাজার টাকার ওপরে না। ভর্তির এক ঘণ্টার মধ্যে রোগীর মৃত্যু হলে শয্যার কোনো রকম ভাড়া নেওয়া যাবে না। সাধারণ শয্যায় ভর্তি থাকা রোগীকে দেখার জন্য দিনে এক বারের বেশি ফি নিতে পারবেন না কোনো মেডিক্যাল অফিসার বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ক্রিটিক্যাল অবস্থার ক্ষেত্রে সেটি দু’বার হতে পারে। দামি ওষুধ দিলে রোগীর পরিবারের অনুমতি নিতে হবে। চিকিৎসার প্যাকেজে লুকনো কোনো খরচ রাখা যাবে না।
বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের সভাপতি রূপক বড়ুয়া বলেন, “বিভিন্ন সময়ে কমিশনের জারি করা অ্যাডভাইজ়রি অধিকাংশ হাসপাতালই মেনে চলছে। তা-ও যে প্রস্তাবগুলি আনা হয়েছে, সে সম্পর্কে সংগঠনের তিন সদস্যের কমিটি আলোচনা করে সরকারকে মতামত জানাবে।” ‘প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর চেয়ারম্যান শেখ আলহাজউদ্দিন বলেন, “এই সব প্রস্তাবে মানুষের উপকার হবে। আমাদের ছয় সদস্যের কোর কমিটি বৈঠক করার পরে তবেই মতামত জানাবে।”