বিশ্ব উষ্ণায়ন নামটার সাথে প্রায় সকলেই পরিচিত। বর্তমান সময়ে সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন। যদিও এর মূলে রয়েছে মানুষের অবিবেচিত কর্মপ্রক্রিয়া, যা ধীরে ধীরে গ্রাস করেছে সমগ্র বিশ্বকে।
গত কয়েক দশকে বিস্তর পরিবর্তন ঘটেছে আবহাওয়া এবং পরিবেশের, আর এই পরিবর্তনের নেপথ্য রয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে ইতিমধ্যেই এর ভয়ংকর প্রভাব টের পাওয়া গেছে। ঘটেছে বন্যা, দাবানল, ভূমিকম্প, জলস্তর বৃদ্ধি। উষ্ণায়নের হাত থেকে নিজেদের বাচাতে পারেনি বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিও। শুধুমাএ এশিয়ার দেশগুলি নয়, এর ভয়ংকর প্রভাব দেখা গেছে , বেলজিয়াম,নেদারল্যান্ডসের মতো উন্নত দেশগুলিতেও।
সাম্প্রতিক সময়ে নাসার একটি রিপোর্ট বিশ্ব উষ্ণায়নকে তুলে ধরেছে আলোচনার মুখ্য তালিকায়। যেখানে বলা হয়েছে অন্তত ৩ ফিট জলের তলায় চলে যাবে দেশের ১২ টি শহর। ২০০৮ সালে বিজ্ঞানীরা এই ঘটনার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন।
নাসার গবেষকেরা জানিয়েছেন বিশ্ব উষ্ণায়নের কারনে যে পরিমানে জলস্তর বাড়ছে তার জেরে জলের তলায় চলে যেতে পারে ভারতের ১২ টি শহর, এই ঘটনা খুব দূরে নেই, আগামী ২১০০ সালের মধ্যেই ঘটবে এই ঘটনা। এই ১২ টি শহরের তালিকায় রয়েছে মুম্বাই, চেন্নাই, কোচিন, বিশাখাপওনমের মতো বড় বড় শহরের নাম।
বিশ্ব উষ্ণায়নের কারনে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি এবং বরফ গলে যাওয়াকেই এই বিপর্যয়ের মুখ্য কারন হিসেবে দেখা হচ্ছে।