খোঁজ মিলেছিল আগেই, এবার আটলান্টিকের গভীর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হলো অভিশপ্ত টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ। বুধবার কানাডার একটি জাহাজে করে ওই ধ্বংসাবশেষগুলিকে নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জন পোর্টে এনে রাখা হয়। এই ধ্বংসাবশেষগুলি পরীক্ষার মাধ্যমেই দুর্ঘটনার আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ এবং আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।
বুধবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্স প্রকাশ করে উদ্ধার করে আনা সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ ছবি। সাদা ত্রিপলে মোড়া ধ্বংসাবশেষ থেকে উঁকি মারছে একাধিক তার। এখানেই শেষ নয়। প্রাথমিক ভাবে এই ডুবযান পরীক্ষা করার পর সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু দেহবশেষ। কিছু দেহবশেষ পাওয়া গেছে সাবমেরিন উদ্ধার হওয়া স্থান থেকেও। এখন সেই দেহবশেষ গুলি সাবমেরিনে যাত্রা করা মৃত অভিযাত্রীদেরই কি না তা খতিয়ে দেখছে চিকিৎসকরা।তবে সেগুলো মানবদেহেরই অংশ বলে প্রাথমিক অনুমান চিকিৎসকদের।
বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন আমেরিকার উপকূল রক্ষীবাহিনী কর্তৃপক্ষ। আমেরিকার উপকূল রক্ষীবাহিনী তরফে বলা হয়েছে, ‘‘চিকিৎসকরা উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ পরীক্ষানিরীক্ষা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’’ ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনার জন্য ‘মেরিন বোর্ড অফ ইনভেস্টিগেশন’ নামে সর্বোচ্চ স্তরের তদন্তও শুরু করেছে আমেরিকার উপকূল রক্ষীবাহিনী।
প্রসঙ্গত গত ১৮ জুন ওশানগেটের ডুবোযান চালক-সহ পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে আটলান্টিকের গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিল টাইটান সাবমেরিন। ডুবোযানটিতে ছিলেন ব্রিটেনের কোটিপতি ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাহজ়াদা দাউদ এবং তাঁর পুত্র সুলেমান, ওশানগেট সংস্থার মুখ্য আধিকারিক স্টকটন রাশ এবং ফরাসি নাবিক পল হেনরি নারজিওলেট। গভীর সমুদ্রে অভিযান শুরু করার পৌনে ২ ঘণ্টার মধ্যেই ডুবোযানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সহযোগী জাহাজ পোলার প্রিন্সের সঙ্গে।এর চার দিন পর টাইটানিকের ধ্বংসস্থল থেকে ১৬০০ ফুট দূরে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়। সমুদ্র বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক অনুমান, জলের চাপে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল টাইটান এবং সেই কারণেই টুকরো টুকরো হয়ে যায় সেটি। বুধবার সেই টুকরোগুলিকেই নিয়ে আসা হল মাটির উপরে।