“বিশ্বে যোগের প্রসারে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সুস্বাস্থ্য়ের জন্য যোগ অত্যন্ত জরুরি। যোগের মাধ্যমে বসুধৈব কুটুম্বকম-এর মন্ত্র জোরালো হবে।”কার্যত এই মর্মেই আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে দেশবাসীকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পাশাপাশি যোগাসনের গুরুত্বের কথা বললে গিয়ে তিনি বলেন, “যোগাসন করলে আয়ুষ ও শক্তি পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই বহু বছর ধরে যোগাসন করছি এবং তার উপকারিতা বুঝতে পেরেছি। ব্যক্তিগত স্বার্থে শারীরিক সুস্থতা অত্যন্ত জরুরি। শরীর সুস্থ থাকলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দেশের বিস্তারে যে অসাধারণ গতি দেখা গিয়েছে,তাতে যোগাসনেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।”
তবে শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, শারীরিক সুস্থতার জন্য যোগাসনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন দেশ বিদেশের একধিক বিশিষ্ট চিকিত্ষকরাও। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে মেলাতে মানুষের জীবনযাপন হয়ে উঠেছে ভীষণই বেহিসেবী।তার সঙ্গে উদ্বেগ ও মানসিক চাপ প্রভাব ফেলছে হার্টের হার্টের ওপর।যার ফলে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা।যার নিরাময়ের জন্য যোগাসনেরও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক. একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হার্টের অসুখ দূরে রাখতে জুড়ি নেই যোগার।শরীর ও মনের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি যোগাসনের মাধ্যমে বাড়ে সহ্যশক্তি, ধৈর্য, ভারসাম্য ও একাগ্রতা।
কিভাবে যোগাসনের মাধ্যমে হার্টের অসুখ নিরাময় হয়?
রক্তে কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা ও অতিব়িক্ত ওজন হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়। মেটাবলিক সিনড্রোমে আক্রান্ত কিছু মধ্যবয়সিদের মধ্যে করা এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা ৩ মাস নিয়মিত যোগাসন করেছেন তাঁদের ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এছাড়া রক্তে কোলেস্টেরল, সুগারের মাত্রাও হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকিও কমেছে অনেকখানি।
যোগাসনের পাশাপাশি, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রাণায়াম।
ধূমপান করেন না এমন ব্যক্তির তুলনায় ধূমপানে আসক্ত ব্যক্তির হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোগাসন, প্রাণায়ামের নেশা হলে ধূমপানে আসক্তি দূর হয়। উদ্বেগ কমাতে যে সকল মানুষ ধূমপানের আশ্রয় নেন তারা যোগাসন শুরু করলে অচিরেই বুঝতে পারবেন, দুশ্চিন্তার সঙ্গে লড়া সহজ হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাঁরা সহজেই ধূমপান ছাড়তে পারেন।
এছাড়াও চিকিৎসকদের মতে, যোগাসনের ফলে নমনীয়তা, শক্তি এবং সহনশীলতা বাড়ায়, যা একটি সুস্থ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য যথেষ্ট।যোগব্যায়ামে ব্যবহৃত ফোকাসড শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যেমন প্রাণায়াম, হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে, স্ট্রেস কমাতে এবং শিথিলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে, যোগব্যায়াম স্ট্রেস হরমোনের উৎপাদন কমায় যা উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগে অবদান রাখতে পারে।