প্রতিদিনের ব্যস্তময় জীবনে সাধারণত মানুষ খুব কমই সময় তাদের নিজেদের মানুষদের দিতে পারে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দিনের কাজের শেষেই পরিবার অথবা বিশেষ মানুষের জন্য সময় বের করা যায়। কিন্তু অনেক সময় সেই কথাবার্তা মতবিরোধ অথবা কথাকাটাকাটি তে গিয়ে পৌছায়। সেই কথা গুলো আমাদের মাথায় সব সময়ই ঘুরতে থাকে। অনেকসময় পরিবারের মানুষ বা প্রিয়জনের কাছ থেকে তিক্ত কথা শুনে ঘুমাতে যেতে হয় আর ফলে ঘুম তো আসেই না আবার ঘুম আসলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়না।
পরিবারের বড়োরা অথবা বৃদ্ধ মানুষদের মুখে প্রায়ই শোনা যায় যে রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া উচিত নয় কিন্তু আমরা সেই কথা শুনেও শুনি না। আমরা মনে করি তাদের এই কথা ভিত্তিহীন ও বৈজ্ঞানিক ভাবে সম্মত নয়। কিন্তু বৈজ্ঞানিকরা এই কথার স্বীকৃতি দিয়েছেন যে রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া একদমই অনুচিত। চিকিৎসকরাও একথা মেনে নিয়েছেন।
আসুন আমরা জেনেনি বিজ্ঞানীরা এই সম্পর্কে কি মনে করেন – যে অনুভূতি নিয়েই আমরা ঘুমাতে যাই না কেনো সেই অনুভূতি আমাদের মনের মধ্যে চলতে থাকে । ফলত রাগ নিয়ে ঘুমাতে গেলে সেই রাগ রাতে ভাবনায় আরো ফুলেফেঁপে ওঠে। অর্থাৎ সেই রাগটি কারণ ছাড়াই আরো বাড়তে থাকে। এর ফলে নিশ্চিন্ত ঘুম হয় না বরং ঘুম হলেও তা অল্পসময়েই ভেঙ্গে যায়। এতে পরের দিনেও এর প্রভাব পরে । দিনের পর দিন এরম সমস্যা দেখা গেলে এতে স্বাস্থের ক্ষতি হয়।
বিজ্ঞানীরা এই সমস্যায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক পরামর্শ দেন। তাদের মতে , যেকোনো ধরনের মতপার্থক্য অথবা মতবিরোধ হলে তার মিটমাট ঘুমোতে যাবার আগেই করে নেওয়া উচিত। এতে নির্বিঘ্নে ঘুম হবে । এছাড়া মানসিক ও শারীরিক কোনো অসুবিধা থাকবেনা।