সম্প্রতি, এই বছরের এপ্রিল মাসে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রস্তাব আনা হয়েছিলো এবং এই অনাস্থা প্রস্তাবে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে এবং এর ফলে তার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। এবার একটি দুর্নীতির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ।
বিদেশী রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রাপ্ত উপহার সামগ্রী বিক্রির দুর্নীতির অভিযোগে সংসদ পদ হারালেন প্রাক্তন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অভিযোগ উঠেছে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ সফরের সময়ে বহু মূল্যবান মূল্যবান উপহার পেয়েছেন বিদেশী রাষ্ট্রগুলির কাছ থেকে। কিন্তু তিনি সেই উপহার বিক্রি করেছেন এবং বিক্রির অর্থের কথা গোপন করেছেন।
এই বিষয়ে শাসক জোটের তরফে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিলো অগাস্ট মাসে। কিন্তু এই বিষয়ে নির্দেশ স্থগিত রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। আজ কমিশনের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে রায় দেয় যে ইমরান খান এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত এবং আগামী পাঁচ বছর সমস্ত সরকারিপদ থেকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি কোনও নির্বাচনে লড়তে পারবেন না সেই নির্দেশ দেন। এবং সেইসাথে তার পার্লামেন্টের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। এবং এর বিরুদ্ধে আইনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এরই প্রতিবাদে বিক্ষভে নেমেছে তার দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই ইনসাফ-এর কর্মী সমর্থকেরা । ইসলামাবাদ এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন সেইসাথে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘাত ঘটেছে এছাড়াও ইসলামাবাদে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের দফতরে গুলিও চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে সেই দেশের কিছু সংবাদমাধ্যম। সারা পাকিস্তান জুড়ে এর অভিযোগের প্রতিবাদে বিক্ষভে নেমেছে সমর্থকেরা। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন ইমরান খান তার দলের তরফ থেকে সেই ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।