প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের শুরুতেই মঙ্গলে নিজেদের পদচিহ্ন পোক্ত করতে আরও একটু অগ্রসর হলো ভারতবর্ষ। গতকাল আমেরিকার জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসা (NASA) একটি সরকারি বিবৃতিতে জানায়,’মানবসভ্যতার স্বার্থে আমেরিকার সঙ্গে ভারত আর্টিমিস এ্যকর্ড সই করেছে। এর ফলে দুই দেশ যৌথভাবে মানবসমাজের উন্নতি হেতু মহাকাশে গবেষণা চালিয়ে যাবে।’
প্রাথমিক পর্যায়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ISRO) দাবি মেনে চাঁদের মটিতে একটি নিজস্ব গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করতে সাহায্য করবে বাইডেনের দেশ। উপরন্তু, ২০২৫ এর মধ্যে চাঁদের মাটিতে মানুষ নামিয়ে আগামী বছরের শুরুটা হাসি মুখেই করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এর জন্যে প্রয়োজন পরীক্ষা নিরীক্ষার এক বিপুল মহড়া। এই সূত্রেই জানা যায়, সাম্প্রতিক মৌ চুক্তি অনুযায়ী, সেমিকন্ডাকটর ইন্ডাস্ট্রির জন্যে ভারতে আনুমানিক ২.৭৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার সাথে কথা বলতে গিয়ে আমেরিকা জানায়,’মাইক্রণ টেকনোলজি ভারতকে সেমিকন্ডাকটর ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম শীর্ষস্থান পাইয়ে দিতে সাহায্য করবে। ভারতীয় মস্তিস্ক এবং আমাদের হিসেবনিকেশ, মানবসভ্যতার এক নতুন যুগের সূচনা বলেই ভাবা হচ্ছে।’
গত মঙ্গলবার, পাকিস্তানের সঙ্গে একটি কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চীন। পাকিস্তানের ভেঙে পড়া অর্থনীতির পাশে দাঁড়াতে আরও ঢালাও করে একটি বাণিজ্যিক ছক প্রস্তুত করছে তারা। পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমে বলেন,’প্রতিবেশী বন্ধুদের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়াটা একান্তই কাম্য। শুধু যে বাণিজ্যিক বিয়োগের আশ্বাস আমরা পেয়েছি এমন নয়, পাকিস্তানের মাটিতে নতুন করে নিউক্লিয়ার প্লান্ট তৈরি করতে ৪.৮ বিলিয়ন ডলারের ছক ইতিমধ্যেই প্রস্তত।’
কূটনীতিকদের একাংশের মত, ভারত-চীন সীমান্তে যে এর একটা প্রভাব পড়তে পারে, তার সম্ভাবনাই প্রবল।