টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারেনি ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাঁচ রানে হেরে দৌড় থেমে গেলেও ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল তার মধ্যেই পায় সুখবর। গ্রুপে প্রথম তিন দলের মধ্যে থাকায় পরের বারের বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকেই যোগ্যতা অর্জন করে ফেলল তারা। ২০২৪ সালে এই বিশ্বকাপ হতে চলেছে বাংলাদেশে।

বিশ্বকাপে দু’টি গ্রুপের প্রথম তিন স্থানাধিকারী মহিলা ক্রিকেট দল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে। ক্রমতালিকায় সপ্তম এবং অষ্টম স্থানে থাকার সুবাদে পরের বিশ্বকাপের যোগ্যতায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানও। এই তিন দেশের পাশাপাশি যোগ্যতা অর্জন করেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউ জ়িল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। এ বারের বিশ্বকাপে খেললেও ক্রমতালিকায় নিম্ন স্থানে থাকার জন্য শ্রীলঙ্কা এবং আয়ারল্যান্ড যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তবে তারা পর্বের ম্যাচ খেলতে হবে পারবেন।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে হেরে গেলেও একটা সময় ভারতের স্থান ভাল জায়গায় ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল, হরমনপ্রীতের ব্যাটে জিতে যাবে দল। কিন্তু ৫২ রানের মাথায় রান আউট হন হরমন। তাঁর ব্যাট ক্রিজে আটকে যাওয়ায় সময়ে পৌঁছতে পারেননি তিনি। আউট হওয়ার পরে সাজঘরে ফেরার পথে রাগে নিজের ব্যাট ছুড়ে ফেলেন ভারত মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। ম্যাচ শেষেও তাঁর গলায় ধরা পড়েছিল সেই হতাশা।

ভারত অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘‘এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে? আমি আর জেমাইমা মিলে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলাম। তার পরে এটা হবে ভাবতে পারিনি। এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আউট হওয়া যায় না।’’

দলের ফিল্ডিংয়ে খুশি হতে পারেননি হরমনপ্রীত। সেমিফাইনালে দু’টি ক্যাচ মিস করেছিল ভারত। তার খেসারত দিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল অধিনায়ক কে । তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা খারাপ ফিল্ডিং করেছি। ক্যাচ ছেড়েছি। তার সুবিধা নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই ধরনের ভুল করা উচিত নয়।’’

তবে রান করতে নেমে যে ভাবে তাঁরা লড়াই করেছে, তার প্রশংসাও শোনা গিয়েছিল হরমনপ্রীতের মুখে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা পাওয়ার প্লে-তে উইকেট হারিয়েছিলাম। কিন্তু লড়াই ছাড়িনি। দলের ব্যাটারদের উপর আমি গর্বিত। নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। তার পরেও সেমিফাইনালে উঠেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলাম না। এটাই আক্ষেপ।’’