এমনিতেই গত বছর করোনার অতিমারির আবহে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এ বছর পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে হোম সেন্টারে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়, কিন্তু তাও রয়েছে বিভ্রান্তি।
গত ২রা এপ্রিল ২০২২ থেকে এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়।এই পরীক্ষার মাঝেই পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ ছুটি বলে ঘোষণা করেন।
অন্য দিকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানান ছুটি নেওয়া যাবেনা। কার্যত এই নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের অধীনে দুটি ভিন্ন বিভাগে অসাম্য সৃষ্টি হয়।যদিও জানানো হয়েছে পরীক্ষার্থীদের রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হবে।
স্কুল যদি বন্ধ থাকে তাহলে পরীক্ষা নেবে কে? প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা মহলে।প্রসঙ্গত অন্যান্য বারের মতো এ বছর পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ ১৮ই এপ্রিল থেকে ৩০শে এপ্রিল গ্রীষ্মকালীন ও রমজানের ছুটি বলে ঘোষণা করেছে। পশ্চিমবঙ্গের ৬১৪ টি মাদ্রাসার মধ্যে অনেক গুলিতেই উচ্চমাধ্যমিকের পাঠক্রম পড়ানো হয়।বর্তমানে এবছর অনেক মাদ্রাসাতেই উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা ও নেওয়া হচ্ছে।
তবে এই পরীক্ষার মাঝখানে ছুটি কিভাবে সম্ভব? তাহলে কি পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করা হবে? ১৯শে এপ্রিল থেকে ৩০শে এপ্রিল রমজানের ছুটির মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নজরদারি ও দেওয়া হয়েছে।
এই দুটি বিভাগের দুই রকম বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে যথেষ্ঠ। যদিও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ঠ দিনেই পরীক্ষা হবে।