গত ১৪ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ অবধি চলেছিল চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। অতিমারি পর্ব কাটিয়ে বসেছিল পরীক্ষার্থীরা। কোভিডের কারণে ২০২১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি ফলে ২০২৩ সালে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিল পরীক্ষার্থীরা। নিজের সেরাটা দিয়ে পরীক্ষার ফল আনতে চেষ্টা চালিয়েছে সবাই। এবছর প্রথম দশের মেধাতালিকায় মোট ৮৭ জনের মধ্যে তিন জন ছিল কলকাতার। পড়াশোনা করেও ওরা নিজেদের শখ পূরণ করার চেষ্টা চালিয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯০ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় সপ্তম স্থানাধিকারী সৃজা উপাধ্যায়।সপ্তম হয়েছে ১৪ জন পরীক্ষার্থী।তাদের মধ্যে ছিল একজন সৃজা যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্রী রাশিবিজ্ঞান নিয়ে উচ্চশিক্ষা করে ডেটা সায়েন্টিস্ট হতে চায় সে। সৃজা বলেছে,‘‘ভাল ফল করতে হলে পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়তে হবে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে নার্ভাস ছিলাম। তাই বার বার মক টেস্ট দিয়েছি। পাঠ্যক্রম শেষ হয়েছিল টেস্ট পরীক্ষার আগেই।’’
অষ্টম স্থানাধিকারী এগারো জনের মধ্যে এক জন সায়ন প্রধান। ৪৮৯ নম্বর পেয়েছে যোধপুর পার্কের পাথফাইন্ডার এইচএস পাবলিক স্কুলের ছাত্র সে।ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় সে। সায়ন বলেছে, ‘‘নিটের প্রস্তুতি নিয়েছি গোটা বছর ধরে। তাতে উচ্চ মাধ্যমিকেরও অনেকটা প্রস্তুতি হয়ে যায়। ”
মেধা তালিকায় নবমে রয়েছে ১৮ জন। ৪৮৮ নম্বর পেয়ে তাদের মধ্যে এক জন নব নালন্দা হাইস্কুলের ছাত্র অর্ক দাস। অ্যাডভান্স জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তুতি নিচ্ছে সে।অর্ক বলেছে, ‘‘যে কোনও বিষয়ের থিয়োরি ভাল করে পড়া থাকতে হবে। তা হলেই উত্তর সহজে লেখা যায়। জয়েন্ট এন্ট্রান্স, আইআইটি-র প্রস্তুতি নিয়েছি আমি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য টেস্ট পেপার ধরে উত্তর লেখার অনুশীলন করেছি।’’