আমরা যতই বলি যে নারী পুরুষ সমান , এটা কি আদৌও সত্যি! এই নিয়ে বহু বিতর্ক লেগেই রয়েছে। তবে এক নতুন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, ভারতে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরুষদের নিয়োগের সংখ্যা সবথেকে বেশী। পুরুষদের আধিপত্যের দাপট যে কতটা প্রখর, তা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্টেই স্পষ্ট জানা যাচ্ছে। আর সেই রিপোর্টই রবিবার অর্থাৎ সমবেতন দিবস বা ইক্যুয়াল পে ডে তে বেতন- বৈষম্য নিয়ে কাজ করা রাষ্ট্রের নিজস্ব সংগঠন ‘ইউ উইমেন’ তুলে ধরেছে।
আইএলও-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিশ্ব জুড়েই কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ অর্থ উপার্জন করেন মহিলারা। বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্টও বলা হয়েছে, কেবল মাত্র নারী – পুরুষ ভেদা ভেদের কারণে কর্মক্ষেত্রে মহিলা ও পুরুষদের উপার্জনের ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিভিন্ন সংস্থায় সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণেই মহিলাদের নিয়োগ করলেও, তাদের বেতনে পার্থক্য থেকেই যাচ্ছে। তাদের বাড়তি কাজ করানো হচ্ছে যা তৈরি করছে বৈষম্যের নতুন এক সমীকরণ। এছাড়াও সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে,অশিক্ষা নয়, নারী পুরুষ ভেদাভেদের কারণেই কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছেন ভারতীয় মহিলারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের গুরুত্ব বাড়লে এই বৈষম্য কিছুটা কমতে পারে বলেই ধারণা তাদের। মহিলাদের কাজের বাজারে অংশগ্রহণ কম হওয়ায় বেতন নিয়ে মহিলারা কিছু বলার সুযোগ পাচ্ছে না। তবে কি সে কারণেই কি বৈষম্য বেড়েই চলেছে? প্রশ্ন থেকেই যায়।