আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষা নীতি রূপায়িত করতে উদ্যোগী সিআইএসসিই বোর্ড। বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাউন্ড – এর বক্তব্য অনুযায়ী, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অধ্যক্ষদের জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০, সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া নীতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি কে শিক্ষকেরা ভালোভাবে পড়ে, সেই সম্পর্কে তাঁরা পড়ুয়াদের অবগত করবেন।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছর থেকেই জাতীয় শিক্ষা নীতির কিছু কিছু বিষয় কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে বোর্ডের। সেগুলির মধ্যে রয়েছে রোবোটিক্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মতো বিষয়। এমনকি পরিকল্পনায় রয়েছে বছরে ৬০ ঘন্টা স্কুলে পড়ুয়াদের ‘ব্যাগ লেস ডে’ কাটানোর বিষয় এবং পাশাপাশি ভোকেশনাল বা বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপরেও জোর দেওয়ার বিষয়। সিআইএসসিই বোর্ডের এই পদক্ষেপ কে বেশিরভাগ স্কুলের অধ্যক্ষরাই স্বাগত জানিয়েছেন ইতিমধ্যে। রামমোহন মিশন স্কুলের অধ্যক্ষ তথা আইসিএসই স্কুলগুলির সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি সুজয় বিশ্বাস বলেন, “পাঠ্যক্রম অনেক আধুনিক করার চেষ্টা করা হয়েছে নতুন শিক্ষা নীতিতে। এই ধরনের আধুনিক চিন্তার কিছু কিছু ছোঁয়া বোর্ডের পাঠ্যক্রমে আগে থেকেই আছে। নতুন শিক্ষা নীতি কার্যকর করতে সব তরফের সদিচ্ছা দরকার।”
তবে অনেকের মতে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর করতে হলে সর্বাগ্রে দরকার উপযুক্ত পরিকাঠামো। যেমন, মর্ডান হাইস্কুল ফর গার্লসের ডিরেক্টর দেবী কর বলেন, ‘‘এই শিক্ষা নীতি কার্যকর করতে হলে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দরকার। দরকার, স্কুলে পরিকাঠামো তৈরি করা। অনেক স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। পরিকাঠামোর এই দিকগুলি ঠিক করা না হলে জাতীয় শিক্ষা নীতি কাগজেকলমেই থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’