বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর মতে ইতি মধ্যেই এই ভাইরাস এর প্রকোপ দেখা গিয়েছে। সারা দুনিয়ায় প্রায় একশোর বেশি মানুষ এই নয়া মানকিপক্স ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়েছেন।। কতটা ভয়ংকর হতে পারে এই রোগটি সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তিত বিশ্ব।করোনা পরিস্থিতির পর নয়া মহামারী মানকিপক্স।
যদিও এই নয়া অতিমারির প্রভাব এখনও ভারতবর্ষে পড়েনি।। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে, কোনো ব্যক্তি এই মানকিপক্স সংক্রমিত দেশ থেকে আসলে বা এই মানকিপক্সের লক্ষণ যদি তার মধ্যে দেখা যায় তাকে আইসলেশনে থাকতে হবে।
হু জানাচ্ছে, এই রোগে আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম । এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত রোগীর প্রাণহানি ঘটেনি। যা চিন্তিত বিশ্বকে একটু হলে ও শান্তির বার্তা দিয়েছে।
এর আগে এই বিরল ভাইরাস আফ্রিকার দেশগুলিতে হত এবং মাত্র ৫ থেকে ১০ বছরের বাচ্চা দের হতে দেখা যেত।।কিন্তু সম্প্রতি এই ভাইরাস ২৩-২৪ বছর বয়স্ক দের মধ্যে ও দেখা যাচ্ছে।সম্প্রতি এই ভাইরাসের সংক্রমণ ইংল্যান্ড ফ্রান্স, বেলজিয়াম,ইটালি,সুইডেন ইত্যাদি আরো কিছু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া ও এর ব্যাতিক্রম নয়।
এই মাঙ্কিপক্স ভাইরাস চিহ্নিত করা হয় ফুসকুড়ির দ্বারা। জ্বর, ক্লান্তি , মাথা ব্যাথা ইত্যাদি দেখা যায়। এই রোগটি ভয়ঙ্কর না হলেও এই লক্ষণ গুলি ১৮ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত দেখা যায়।।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংথা হু এর মতে এই ভাইরাস টি মানুষের মধ্যে থেকে ছড়ায় না। কিন্তু কোনো সংক্রমিত ব্যাক্তির ব্যাবহৃত জিনিসপত্রর সংস্পর্শ থেকে এড়িয়ে চলা উচিত।।এই ভাইরাসটি সাধারণত ইদুর বা কাঠবেরালি থেকে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবা কম আছে সেই জায়গায় ৫ জন সংক্রমিত রোগীর মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হতে পারে এবং বাকি সবাই ২থেকে ৩ সপ্তাহর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
এই ভাইরাসের এখনও পর্যন্ত কোনো টিকা তৈরি হয়নি। কিন্তু এই মানকিপক্স ভাইরাসের জন্য বসন্ত রোগের টিকা কার্যকর বলে জানিয়েছে হু।