গোটা বিশ্বের কাছে এক উদাহরণ সৃষ্টি করল কর্ণাটকের উত্তর কন্নড় জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের একটি স্কুল শিক্ষক। শোনা যায় স্কুলে বাচ্চাদের নয়া প্রযুক্তির পরিচয় দেয়ার জন্য ওই স্কুলের পদার্থ বিজ্ঞানের টিচার অক্ষয় মাশেরকার নামে একজন শিক্ষক আস্ত একটি রোবট বানিয়ে তাক লাগলেন।।
এই রোবট স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকার মতোই ক্লাস নেবেন। ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে পড়ানো বা পড়া ধরা ও ক্লাসে বোকা এবং পড়াশোনা ভালো হলে প্রশংসাও করবে এই রোবট। অক্ষয় মাশেরকার তিনি একজন ফিজিক্সের গবেষক ও চৈতন্য প্রি ইউনিভার্সিটি পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং তার সাথে গ্রামের স্কুলের বাচ্চাদেরও পড়ান। এই শিক্ষক জানান এই রোবট বিশেষ কোনো প্রযুক্তির রোবট না কিন্তু গ্রামের স্কুলের বাচ্চাদের পোড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রোগ্রামিং করা হয় এই রোবটকে। মাথা ও হাত নাড়াতে পারবে এই রোবট। ক্লাস নেয়া থেকে প্রাকটিক্যাল ক্লাস এবং পড়া পারলে প্রশংসা ও ভুল করলে বা পড়া না পারলে বকাও দেবে এই রোবট। এবং এই রোবটের নাম রাখা হয় ” শিক্ষা”।
সংবাদ সুত্রে, ওই স্কুল শিক্ষক জানান করোনা কালে টানা দুই বছর যাবত বাচ্চারা অনলাইন ক্লাস করে খুবই হাঁপিয়ে উঠেছে তাছাড়া অনলাইন ক্লাসে অনেকে তেমন ভাবে মনোযোগ দিয়ে পরতেও পারেনি। আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রামে গরীব দুঃস্থ বাড়িতে মোবাইল না থাকার কারণে ক্লাস করতেও পারেনা। এতদিন ধরে পড়াশোনার এক নিয়মে চলে আসছে। সেটা অতিমারিরীর কালে সেটা পরিবর্তন ঘটে। সেই জায়গায় অনলাইনে পড়াশোনার ধারণা ছাত্র ছাত্রীরা এই বিষয় টা ঠিক মানিয়ে নিতে পারেনা। সেক্ষেত্রে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বদল আনার কারণেই এই প্রযুক্তির ব্যাবহার । তাতে এই প্রযুক্তি নিয়ে বাচ্চাদের মনে এক নতুন ধারণা আসবে।।।