টাইম মেশিন শব্দটি শুনলেই মনে পড়ে যায় ছোটো বেলায় দেখা ডোরেমনের টাইম মেশিন এর কথা। পড়ার টেবিলের একটি ড্রয়ার খুলে ঢুখে যাওয়া যেত সেই টাইম মেশিনে। আর তারপরেই নানা রকম রং বেরংয়ের ঘড়ি ঘুরতে থাকতো। যে সময়ে যেতে চাও সেই সময় টা টাইম মেশিনে একবার লিখে দিলেই বেশ কাজ শেষ টাইম মেশিন তোমাকে পৌঁছে দেবে সেই জায়গায়। শুধু কি ডোরেমনেই টাইম ট্র্যাভেল এর কথা বলা হয়েছে? একদমই না। ছোটো বেলায় পড়া রিপ ভ্যান উইংকেল গল্পেও বলা হয়েছে টাইম ট্রাভেল করার কথা। এক পর্বতের চূড়ায় রিপ মদ্যপ অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ে তার ঘুম যখন ভাঙে সে দেখে ঘুমের মধ্যেই সে ২০টা বছর কাটিয়ে ফেলেছে।শুধু কি বিশ্ব সাহিত্যে বাংলা সাহিত্যেও টাইম ট্রাভেল নিয়ে সত্যজিৎ রায় লিখেছেন “প্রফেসর শঙ্কু ও ড. রণ্ডির টাইম মেশিন।” শঙ্কু ড. রণ্ডীর টাইম মেশিনে করে কি ভাবে ভারতের ইতিহাসের নানা সময় ঘুরে দেখেন তাই বর্ণিত এই গল্পে।
আচ্ছা যদি প্রফেসর শঙ্কুর মত কোনো টাইম মেশিনে করে যদি ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ সময় গুলোতে একবার ঘুরে আসা যেত তবে কেমন হতো? এই যেমন সম্রাট অশোকের সাম্রাজ্য, শশাঙ্কের সাম্রাজ্য, সেই সময়টা যখন রাজা হর্ষবর্ধন যুদ্ধ থেকে অবসান ঘোষণা করলেন, ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের গোড়ার দিকে, তাজমহল তৈরী হওয়ার পর কি সমস্ত সৈনিকের হাত কাটার ঘটনা কি আদেও সত্যি এছাড়াও পলাশীতে ভারতের স্বাধীনতার এবং ভারতের স্বাধীন নবাব সিরাউদ্দৌলার শেষ সময়, আইন অমান্য আন্দোলন, কি ভাবে নেতাজির নানা রকম কর্মসূচির জন্য ব্রিটিশ রাজের ভয় স্বয়ং নেতাজি সুভাচন্দ্র বোষ এবং সবশেষে ১৯৪৭ সালের ১৫ওই আগস্ট যখন লাল কেল্লার সামনে ইংল্যান্ডের পতাকা নামিয়ে ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হলো। এসব কিছুই দেখা সম্ভব হতো যদি টাইম ট্রাভেল সম্ভব হতো। আজ বিজ্ঞান অনেক তাই উন্নত তাও এখনও টাইম ট্রাভেল সম্ভব না হলেও একদিন নিশ্চয়ই সম্ভব হবে। আর তারপরেই ভারতের ইতিহাসের বিতর্কিত সব অধ্যায়ের অবসান ঘটবে।
সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটবে ঠিকই কিন্তু টাইম মেশিনে যদি কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ হয় তখন? সেই টাইম মেশিনের যাত্রীরা তো আটকে পড়তে পারে যে কোনো সময়ে মধ্যে সেখান থেকে কি তারা আর ফিরে আসতে পারবে নিজেদের সময়ে? এমনই অনেক প্রশ্ন জড়িয়ে আছে টাইম ট্র্যাভেল এর সঙ্গে। যার উত্তর পেলে হয়তো একদিন টাইম ট্রাভেল নিশ্চয়ই সম্ভব হবে।