নতুন প্রযুক্তি সামাজিক পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। আধুনিকীকরণের পর থেকে সামাজিক পরিবর্তনে কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে শিল্পায়নে অগ্রসর হয়েছে। ফলে প্রযুক্তিগত দিকে নজর দেওয়া জরুরী হয়ে পড়ে। নতুন প্রযুক্তি সমাজ পরিবর্তন করে না, বরং প্রযুক্তিগত কারণে সামাজিক পরিবর্তন হয়।
১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা পাওয়ার পর দেশের কাছে শিক্ষা, রোজগার, লিঙ্গ নির্ধারণ ছাড়া কৃষি ও শিল্পায়ন এর মত অনেক অর্থনৈতিক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়েছিল। দীর্ঘ ৭৫ বছর পর এর মধ্যে অনেক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তবুও আমরা এখনো উন্নত নয় উন্নয়নের পথে রয়েছি। এমনই ভাবে আরেক উন্নয়নের পথে এগিয়ে গেলাম আমরা,প্রাচীন ভারতে বিশাখাপত্তনম ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। হাজার হাজার বছর আগে রোম ও পশ্চিম এশিয়ায় ভারতীয় বাণিজ্যের এটাই ছিল মূল পথ। ভারতীয় বাণিজ্যের একটি কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে এই বন্দর আজও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আর এখানে ১০,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে যে সমস্ত প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হচ্ছে তা অন্ধ্রপ্রদেশবাসীর আশা ও আকাঙ্ক্ষার সফল রূপায়ণে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পগুলির মধ্য দিয়ে এখানকার পরিকাঠামো যেমন এক নতুন মাত্রা লাভ করবে, অন্যদিকে তেমনই জীবনযাত্রার মানও সহজতর হয়ে উঠবে এবং এইভাবেই এই ধরনের কর্মপ্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই আত্মপ্রকাশ করবে এক আত্মনির্ভর ভারত।দেশের বর্তমান অমৃতকালে আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টা দ্রুততর হয়ে উঠেছে। লক্ষ্য আমাদের একটিই – এক উন্নত ভারত গড়ে তোলা।ভারতের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই। আর এইভাবেই ভারত হয়ে উঠেছে সমগ্র বিশ্বের কাছে আশা-ভরসার এক কেন্দ্রবিন্দু। দেশের নাগরিকদের প্রয়োজন ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা চিন্তা করে ভারত সরকার যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে গেছে, এই স্বীকৃতি তারই ফলস্বরূপ। কারণ, সরকারের প্রতিটি নীতি ও সিদ্ধান্তের লক্ষ্যই হল সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজে তর ও উন্নততর করে তোলা।গত আড়াই বছর ধরে দেশবাসীর মধ্যে বিনামূল্যে রেশন বন্টন, দরিদ্র কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর ৬ হাজার টাকার অনুদান সম্পর্কিত নিয়ম-নীতির সরলীকরণের মতো বিষয়গুলিও উঠে আসে। এছাড়াও আদিত্য l¹ মিশন, দিসা, তৃষ্ণা ভারত মালা যা ন্যাশনাল হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ৫০০০০ কিলোমিটার হাইওয়ে নির্মাণ, সাগর মালা প্রভৃতি প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ভারত যেমন উন্নত বা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি সাধারণ মানুষদের জীবন সহজতর করে তুলছে।