প্রতিবেশী দেশ গুলির সঙ্গে বৈঠক করতে মঙ্গলবার টোকিও একত্রিত হন কোয়াড অন্তর্ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ভিতরে যখন আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা চলছে তখন জাপানের আকাশসীমার কাছ থেকে যুদ্ধ বিমান পরিচালনা করছে রুশ ও চীন। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি জাপান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নোবুও কিশি। মস্কো ও বেজিং উস্কানিমূলক কার্যকলাপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা চরমে।
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের দাপট কে মোকাবিলা করতে ২০১৭ সালে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও আমেরিকা মিলে আনুষ্ঠানিকভাবে তৈরি করে কোয়াড। মঙ্গলবার বৈঠকেও উঠে আসে ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের অধিপত্য স্থাপন প্রচেষ্টার প্রসঙ্গ। আর তার মাঝেই জাপানের আকাশ সীমা দিয়ে রুশ ও চীনা যুদ্ধ বিমানের মহড়ায় বেশ উদ্বিগ্ন জাপান। সাংবাদিক বৈঠকে কিশি জানান, ‘জাপান সাগরের উপরে দুটি রুশ বোমারু বিমানের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল দুটি চিনা বোমারু বিমান। তারপর তারা পূর্ব চিন সাগর পর্যন্ত যৌথ উড়ান পরিচালনা করে। এরপর, আগের দুটি চিনা বোমারু বিমানের বদলে, রুশ বোমারু বিমানদুটির সঙ্গে যোগ দেয় দুটি নতুন চিনা বোমারু বিমান। এরপর ওই চারটি বিমান পূর্ব চিন ,সাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত যৌথ মহড়া পরিচালনা করে।’
তবে জাপানের আকাশে রুশ ও চীনা বিমানের মহড়া এই প্রথম নয় ।২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে এখনো পর্যন্ত মোট চারবার জাপানের আকাশে উড়তে দেখা যায় এই দুই যুদ্ধবিমান। তবে কোয়ার্ড বৈঠক চলাকালীন এই মহড়া বেজিং ও মস্কোর উস্কানি মূলক বার্তা বলেই মনে করছেন জাপান।
জাপান সরকারের এই বিবৃতির পর ও মস্কোর তরফ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও চিনা সংবাদমাধ্যমের তরফে একটি ভিডিও টুইট করে জানানো হয়েছে এই মহড়ার কথা। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উদ্ধৃত করা উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে এই মহড়াকে নিয়মিত যৌথ টহল দারি মহড়া বলে দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জানানো হয়েছে, বিমানগুলি আন্তর্জাতিক বিধি মেনে চলেছে এবং অন্য কোনও দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি।
তবে এই ধরণের সামরিক মহড়ার তীব্র নিন্দা করেছে জাপান। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরণের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখার কথা জানিয়েছে জাপান সরকার।