গর্ভে শিশু থাকাকালীন মহিলাদের পড়তে হবে রাম, হনুমান কিংবা শিবাজির সংগ্রামের কাহিনি। এর ফলে জন্মের আগে থেকেই গর্ভের সন্তান ভারতীয় সংস্কারে অভ্যস্ত ও দেশপ্রেমী হয়ে উঠবে। এর ফলে জন্মাবার পর প্রতিটা শিশু হয়ে উঠবে দেশপ্রেমিক বা দেশপ্রেমিকা। এই জন্যই গর্ব সংস্কার কর্মসূচি শুরু করছেন আরএসএসের মহিলা শাখা রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির সঙ্গে জুড়ে থাকা সংগঠন সংবর্ধিনী ন্যাস। দিল্লিতে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় স্ত্রীর বিশেষজ্ঞদের কে নিয়ে একটি সম্মেলনে গর্ভ সংস্কার কর্মসূচির কথা হয়, এবং বলা হয়েছে যে চিকিৎসকদের যোগাযোগ শুরু করবে ন্যাস। তাদের বলা হবে যাতে তাঁরা যেন গর্ভবতী মহিলাদের রাম, হনুমান কিংবা শিবাজীর জীবনের কাহিনি পড়ার পরামর্শ দেন, যাতে গর্ভের সন্তান জন্মের আগে থেকেই ভারতীয় সংস্কার শিখতে শুরু করে দেয় এবং দেশপ্রেমের ভাবনায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে ।
সংবিধানের ন্যাশের কর্মশালায় ১২টি রাজ্যের প্রায় ৮০ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেছেন এই গর্ভ সংস্কার নামক কর্মসূচিতে। যদিও এদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। ন্যাসের রাষ্ট্রীয় সচিব মাধুরী মরাঠে দাবি করেছেন, গর্ভাবস্থা থেকেই সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া উচিত। শিশুদের শেখানো উচিত যে দেশ সবার উপরে তার উপরে কেউ নেই। এটি বোঝাতে গিয়ে তিনি উদাহরণ হিসেবে ছত্রপতি শিবাজির মা জীজাবাঈয়ের উদাহরণ টেনে আনেন। বলেন, গর্ভবতী মহিলাদের উচিত তাঁর মতোই প্রার্থনা করা যাতে শিশুর মধ্যে হিন্দু শাসকের গুণ ফুটে ওঠে। তিনি আরো বলেছেন যে গর্ভাবস্থা থাকাকালীন এবং শিশুর জন্মের পরের দুই বছর অর্থাৎ, এক হাজার দিন ধরে ‘গর্ভ সংস্কার’ করা হলে পরবর্তী প্রজন্মকে আমরা দেশপ্রেমী করে তুলতে পারি।
কর্মশালার চিকিৎসক রজনী মিত্তল বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য যে দেশে প্রতি বছর ‘গর্ভ সংস্কার’-এর মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে এক হাজার শিশুর জন্ম দেওয়ানো। এর ফলে ভারতের পুরনো গৌরব ফিরে আসতে পারে। তাঁর মতে, এখন ভারতে অপরাধীদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলছে। ধর্ষক হয়ে উঠেছে বহু মানুষ। সন্তানের হাতে বাবা-মায়ের হত্যার খবরও শোনা যায়। এই পরিস্থিতিতে রামের মতো সন্তান যদি হয়, মহিলারা নিশ্চয়ই খুশি হবেন। কর্মশালায় আরও দাবি করা হয়েছে যে, শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণের বিষয়ে ভাবার কারণেই আজকাল সমকামী শিশুর জন্ম হচ্ছে। আর এসবের জন্যই গর্ভ সংস্কার কর্মসূচি করা উচিত।