গাজায় থামছে না রক্তপাত।হামাস – ইজরায়েল যুদ্ধ থামানোর জন্য আন্তর্জাতিক মহলে চলছে নানান আলোচনা। কিন্তু কোনো কিছুতেই সুফল মিলছে না। ইজরায়েলের দিক থেকে জারি রয়েছে ফৌজ হামলা। গাজা শহরের বিভিন্ন স্কুল, হাসপাতালে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলের ফৌজ। চলতি মাসেই পরপর দুবার গাজায় স্কুল হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। ৪ঠা আগস্ট ইজরায়েলি বিমান গাজা শহরের দুটি স্কুলে হামলা চালায়। সেই বিমান হামলায় মৃত্যু হয়েছিল কমপক্ষে ২৫ জনের। এরপরই ১০ই আগস্ট ফের গাজার একটি স্কুলে ভয়ংকর হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। সেই অগ্নি বর্ষণে নিহত প্রায় ১০০ জন। এমনটাই দাবি গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের । এই হামলা নিয়ে তেল আভিভ ও তাঁর দাবি জানিয়েছেন। সেই দাবি অনুযায়ী, ‘গাজার ওই স্কুল আদতে হামাসের সন্ত্রাস ঘাঁটি ছিল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখতে এই অভিযান চালানো হয়েছে।’
গত ১০ মাস ধরে হামাসকে ধ্বংস করতে গোটা গাজা শহরকে মৃত্যু ভূমি বানিয়ে দিচ্ছে ইহুদী দেশ ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনার অভিযোগ, হামাসের বিভিন্ন হাসপাতাল, স্কুল, ধর্মীয় স্থানই হল হামাস জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর। সেখান থেকেই তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেও এই অভিযোগের সাপেক্ষে যুক্তিও দিয়েছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। রয়টার্স সূত্রে জানা গেছে, এদিন গাজা শহরের আল শাহবার একটি স্কুলে ইজরায়েলের বোমাবর্ষণে প্রায় ১০০ জনের প্রাণ গিয়েছে, আহত প্রায় শতাধিক।
গাজার প্রশাসন সূত্রে খবর, মর্টার শেল দিয়ে আল শাহবার স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলের ফৌজ। পরপর মর্টার আক্রমণে স্কুলে আগুন লেগে যায়, ধ্বংসস্তূপের আকার ধারণ করে স্কুল টি। স্কুলটিতে আশ্রয় নেওয়া শরনার্থীদের মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে সেখানে। ঘটনাস্থলে দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে; আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
টেলিগ্ৰামে এই ঘটনাকে ভয়ংকর গণহত্যা বলে দাবি করেছেন গাজা ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মহম্মদ বাসাল।