করোনা আবহে আগেই অনেক মানুষ তাদের কর্মস্থান হারিয়েছেন। আর এখন মন্দার সঙ্গে গোটা পৃথিবীর কোম্পানিগুলি লে-অফের দিকে ঢুকেছে ফলে একের পর এক কোম্পানি তারা তাদের কর্মী ছাঁটাই করে চলেছে। এখন ওই লিস্টে যোগ আরও একটি বড় কোম্পানির নাম টেলিকম সামগ্রী নির্মাতা কোম্পানি এরিকসন। কস্ট কাটিং-এর দোহাই দিয়ে এক ধাক্কায় বড় সংখ্যায় কর্মচারীকে বিদায়ের পরিকল্পনা করেছেন।
রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী সুইডিশ টেলিকম নির্মাতা কোম্পানি এরিকসন পুরো বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কর্মচারী ছাঁটাই করতে চলেছে। কোম্পানি সূত্রে খবর এই লিস্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে।এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র সুইডেনেই ১৪০০ কর্মচারীর চাকরি চলে গিয়েছে । এছাড়াও ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট, আলিবাবা, আমাজন-এর মতো কোম্পানিগুলিও আগেই লিস্টে শামিল হয়েছে।জানা গিয়েছে, এই সমস্ত কোম্পানিগুলি ভারী সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাই করে চলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী এরিকসনে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫ হাজার কর্মচারী ওয়ার্ক ফোর্সে ছিল। এখন তার মধ্যে ৮৫০০ কর্মচারী ছাঁটাই করা হচ্ছে। গ্লোবাল মন্দার ভয়ে এবং মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে কোম্পানিগুলির খরচ কম করার জন্য একের পর এক কোম্পানি এর পথে এগিয়ে আসছে। এরিকসন এর তরফ থেকে লে অফের সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তারা বেশিরভাগ কর্মচারীদের বছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যেই ছাঁটাই করবেন এবং বাকি কর্মচারীদের ২০২৪ এ প্রথম ভাগে ছাঁটাই করা হবে। গ্লোবাল স্তরে প্রতিকূল আর্থিক পরিস্থিতি এবং ৫জি নেটওয়ার্ক এর শুরু হওয়ায় খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কায় তা কম করার জন্য এই প্ল্যান করেছে।কোম্পানির তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিকূল আর্থিক পরিস্থিতিতে তাদের খরচে লাগাম দিতে ও বাজারে খরচ কমানোর জন্য তারা ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছেন। কোম্পানি তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে কর্মচারীদের ছাঁটাইয়ের নোটিশ এই সপ্তাহের শুরুতেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এরিকসনের সিইও বর্জে এখলাম কর্মচারীদের পাঠানো একটি মেমোতে লিখেছেন যে কর্মচারীদের সংখ্যা কম করার জন্য আলাদা-আলাদা দেশের ভিত্তিতে এই ছাটাই…করা হচ্ছে। একাধিক দেশে এই সপ্তাহে কর্মচারীদের সংখ্যা কমানোর আভাস দিয়ে দেওয়া হয়েছে। রয়টার্স সূত্রে খবর বর্জে এখলাম এখলাম আরও জানিয়েছেন যে বাজারে মন্দা হওয়ার কারণে এবং মূল্য বৃদ্ধির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।