‘গাড়ি গড়াতে যেমন চাকা লাগে, কলিযুগে বাঁচতে গেলেও টাকা লাগে” – বর্তমানে বাংলার মাটিতে এই গানটি যেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, ঠিক তেমনই, এটাও সত্যি যে এই গাড়ি তৈরি করতেও স্বপ্ন লাগে।
আর স্বপ্ন দেখতে সাহস লাগে!
হ্যাঁ! আর এই স্বপ্ন দেখে যারা দেশকে “ডিজিটল” হতে আরও একধাপ এগিয়ে যায়, এবার তাদেরই সম্মান করতে জটবদ্ধো হলো দেশের প্রথম সারির এক সংবাদ সংস্থা ও স্যাপ। উদ্দেশ্য একটাই। ভারতের মতো কুটিরশিল্প প্রধান একটি দেশকে উন্নত দেশের তালিকায় নথিভুক্ত করতে গেলে, প্রথমে এই কুটিরশিল্পের আধুনিকায়ন করা অত্যন্ত জরুরি। আর যে সমস্ত নাগরিক, এই আধুনিকায়নে সাহস দেখাতে সক্ষম হয়েছেন, তাদের সংবর্ধনা করবে স্যাপ ইন্ডিয়া।
SAP-এর ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কুলমিত বাওয়া বলেন, ‘ভারতে স্যাপের সফর সবসময়ই দেশের উন্নতির কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ছিল, যা ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি ভারতীয়ের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। আমরা সর্বদা ভারতের মিড-মার্কেটের সম্মিলিত শক্তিতে বিশ্বাস রাখি এবং তাদের বিকাশকে উৎসাহিত করি।’
তা সে প্রযুক্তিগত ভাবে ভবিষ্যত গড়ে তোলাই হোক কিংবাএসএমই সম্প্রদায়ের বিশ্বস্ত পরামর্শদাতা হওয়া। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হল – নতুন ভারতের উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলা সমস্ত বাণিজ্যিক কৃতিদের স্বীকৃতি ও সম্মান জানানো।
এটাই প্রথম নয়। এই নিয়ে চতুর্থ বার প্রদান করা হচ্ছে ‘ড্রিম টু ডেয়ার এয়ার্ড’ অর্থাৎ স্বপ্নের জন্যে সাহসই মূল চাবিকাঠি। গত তিন বছরে সমীক্ষা করে দেখা গেছে, এতে যে শুধু মাত্র ভারতের অর্থনীতিই চাঙ্গা হচ্ছে এমনটা নয়, বাড়ছে কাজের সুযোগ, হ্রাশ পাচ্ছে বেকারত্ব, তথাপি অল্প হলেও ঝুঁকছে দেশের ক্রাইম ইন্ডেক্স।
প্রসঙ্গত,১২টি বিভাগে ৫০টিরও বেশি পুরস্কার প্রদান করবে দেশেরবিশিষ্ট শিল্পপতিরা। উদ্ভাবন, প্রযুক্তি, ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী শিল্পপতিদের তাঁরা স্বীকৃতি দেবেন।