পাঁচ বছর আগে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে হানাদার প্রিডেটর ড্রোন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন , এই ড্রোনটির বিশেষ ক্ষমতা হলো নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে সক্ষম এই ড্রোন। প্রিডেটর ড্রোন পাওয়ার কথা জেনে উৎসাহী ছিল ভারতীয় সেনাও। কিন্তু তখন বাধা হয়ে দাঁড়ায় মোদী সরকারের ভারতকে স্বনির্ভর করার পদক্ষেপ। প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ভারতকে আত্মনির্ভর করার উদ্দেশ্যে মোট ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার , সেই তালিকায় ছিলো বিদেশি ড্রোনও।
সম্প্রতি লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা ড্রোনের মোকাবিলা করার জন্য নতুন ড্রোন পেতে পারে ভারতীয় সেনা। ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিমান থেকে উড়ানে সক্ষম ড্রোন নির্মাণের বার্তা দিয়েছে আমেরিকা, পেন্টাগনের তরফে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লিকে।বৃহস্পতিবার আমেরিকার সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব এলি র্যাটনার জানান, ‘‘ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণ সংক্রান্ত কর্মসূচিকে সহায়তার উদ্দেশ্যে আমরা যৌথ ভাবে ড্রোন নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ড্রোন রফতানিও করতে পারবে ভারত।
তবে জো বাইডেন সরকারের এই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। সামরিক উৎপাদনে ভারতকে ‘আত্মনির্ভর’ করে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্লোগান এ ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।