চীনের আগ্রাসন নীতির বাড়বাড়ন্ত চরমে। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে দ্রুত আধিপত্য বিস্তার করছে চীন। মায়ানমারের নৌঘাঁটির পর এবার ধীরে ধীরে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে এগোচ্ছে বেজিং।
চীনকে নিয়ে তৎপরতার বিষয়ে গত মাসেই একটি কোয়ার্ড বৈঠক সংগঠিত হয়। ভারত, আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া চতুদেশীয় এই কোয়ার্ড বৈঠকের মূল কেন্দ্র ছিল চীনের আগ্রাসন। চিনের পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার নতুন নৌঘাঁটি তৈরির কাজ শুরু করেছে। ধীরে ধীরে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার দিকে এগোচ্ছে বেজিং। আমেরিকার সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোষ্টের আশঙ্কা চীনের এই আগ্রাসন পরবর্তীতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার পক্ষে ‘আশঙ্কার কারণ’ হয়ে উঠতে পারে। বিভিন্ন পশ্চিমী সামরিক সংস্থার মতে বছর কয়েক আগেই মায়ানমারের কোকো দ্বীপে চিন গোপন নৌঘাঁটি বানিয়েছে, কিন্তু চিন বা মায়ানমার দুই তরফের কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে এই কথা স্বীকার করেনি।
এছাড়াও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উত্তরের ইস্ট দ্বীপ এবং ল্যান্ডফল দ্বীপের চিনা ফৌজের উপস্থিতি ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে আশঙ্কাজনক।