মোহন একজন গরিব মুচি ছিল। তিনি ছেঁড়াফাটা জুতো সেলাই করে নিজের জীবনযাপন চালাত। কোনদিনও ১০ টাকা কোনদিনও কুড়ি টাকা আবার কোনদিনও হয়তো তার কিছুই ইনকাম হতো না।তার জীবনটাই এমন ছিল কোনদিন সে জল খেয়ে কাটাতো আবার কোনদিন হয়তো দু মুঠো ভাত খেয়ে কাটাতো। তার জীবনটা বড়ই কষ্টের ছিল ,দিন আনা দিন খাওয়ার মতন।
তিনি একদিন একটা ছেঁড়া জুতো পড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে তার জীবনের এইসব কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎই একটা রিকশা দেখতে পেল এবং রিক্সা টার উপর উঠে বসলো । রিকশাতে বসা মাত্রই তার জীবনের অবিশ্বাস্য কিছু মুহূর্ত ঘটতে লাগলো।
মোহন সেই মুহূর্তে কিছু ভাবনাচিন্তা না করতে পেরে রিক্সাটি নিয়ে এগিয়ে চলল এবং কিছুদূর যেতেই সে পৌঁছে গেল ভারতের ইতিহাসের এক প্রাচীন যুগে এবং সে সেখানে গিয়ে দেখল 7000 খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে দক্ষিণ এশিয়ায় চারণ থেকে কৃষিকাজ এবং যাজকবাদে রূপান্তর জড়িত সেডেন্টারিনেস ।ধীরে ধীরে বিবর্তিত হতে শুরু করে সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা , যা প্রাচীন মিশর এবং মেসোপটেমিয়ার সমসাময়িক ছিলএকই সময়ে, ইন্দো-আর্য উপজাতিরা বিভিন্ন স্থানান্তরের তরঙ্গে মধ্য এশিয়া থেকে পাঞ্জাবে চলে আসে ।
একটি দ্বিতীয় নগরায়ন ঘটে, যা জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের উত্থান সহ বৃহত্তর মগধে নতুন তপস্বী আন্দোলন এবং ধর্মীয় ধারণার , উত্থানের সাথে আসে । এগুলি ব্রাহ্মণ্যবাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং আচার-অনুষ্ঠানের প্রাধান্যের বিরোধিতা করেছিল – যা প্রায়শই ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের দ্বারা পরিচালিত হয় – যা বৈদিক ধর্মের সাথে যুক্ত ছিল।
তিনি ওখানে নানা জিনিস উপলব্ধি করার পর আবার রিকশায় উঠে বসলো এবং চলে গেলেন আদিম যুগে তিনি যা দেখল তা দেখে তিনি অবাক হয়ে গেল তিনি দেখলেন আদিম মানুষের যখন উদ্ভব হয় তখন বনেজঙ্গলে ঘুরে বেড়াত বিশাল আকারের ভয়ানক সব প্রাণী। মানুষও ওইসব প্রাণীর মতােই জলে-জঙ্গলে, পাহাড়ের গুহায় বসবাস করত। তাদের খাদ্য ছিল বনের ফলমূল ও কাঁচা মাংস। তাদের জীবন ছিল খুবই কষ্টের ও বিপদের। তারা নিজেদের জীবন আস্তে আস্তে বদলাতে শিখলো কাঁচা মাংস পুড়িয়ে খেতে শিখলো। কাঠের উপর কাঠঠোকরে আগুন জ্বালাতে শিখলো এর পরেই পাথরের উপর পাথরঠ ঠুকরে তারা আগুন জ্বালাতে শিখল আসতে আসতে তাদের জীবনের পরিবর্তন আসতে লাগলো। তারপরে তারা কৃষিকাজ শিখতে শুরু করল। কৃষির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বেশির ভাগ মানুষ যাযাবর জীবনযাত্রা ত্যাগ করে স্থায়ীভাবে কৃষকের জীবন গ্রহণ করে। তবে বহু সমাজে যাযাবর জীবনব্যবস্থা রয়ে যায়, বিশেষ করে ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলিতে ও যেখানে আবাদযোগ্য উদ্ভিদ প্রজাতির অভাব ছিল। কৃষি থেকে প্রাপ্ত খাদ্য নিরাপত্তা ও উদ্বৃত্ত উৎপাদনের ফলে গোষ্ঠীগুলি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে আরও বড় সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্ম দেয়।
এরপরে তিনি আবার সেই একইভাবে রিকশাদের উপর বসেন এবং চলে আসেন ভারত স্বাধীনের প্রথম দিকে। তিনি দেখেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন নরমপন্থী এবং চরমপন্থী, এই দু’টি বিপরীত ধারায় সম্পন্ন হয়েছিল। এই আন্দোলন ও ভারতের সর্ববস্তরের মানুষ এর মিলিত আন্দোলনের ফলে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত বিভাগের মাধ্যমে ভারত এবং পাকিস্তান নামে দু’টি দেশ সৃষ্টি হয়।
এই আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব এবং অন্যান্য ঔপনিবেশিক প্রশাসন শেষ হয়।ঔপনিবেশিক বিস্তারের শুরুতে ষোড়শ শতকে প্রথম প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছিল। সপ্তদশ শতকের মধ্য ও শেষ ভাগে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বারা উত্তর ভারতে ঔপনিবেশিক বিস্তারের প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছিল।যুদ্ধের শেষ প্রান্তে কংগ্রেস অহিংস আন্দোলনের নীতিমালা অবলম্বন করেছিল এবং অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধী নেতৃত্ব দিয়েছিল। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু’র মত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পরবর্তীকালে একটি বৈপ্লবিক দর্শন অবলম্বন করে আন্দোলনে করতে এসেছিলেন।ভারত ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজশক্তির স্বায়ত্বশাসনে ছিল। তারপর ভারত একটি প্রজাতন্ত্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। পাকিস্তান ১৯৫৬ সালে একটি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ অধিকার লড়াইয়ের একটি গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছিল তার ফলে গণতন্ত্রের স্থগিতাবস্থা এসেছিল।
তিনি এত কিছু দেখে আবার রিক্সা টিতে বসেন ,বসে তিনি বর্তমান যুগে ফিরে আসেন এবং তিনি বুঝতে পারেন রিক্সাটি কোন সাধারণ রিক্সা না রিকশাটি করে তিনি বিভিন্ন যুগে যেতে পারেন এবং এই রিকশাটি একটি জাদুকরী রিকশা ছিল এবং এই রিকশাটি পেয়ে এক দারিদ্র ব্যক্তির জীবন পরিবর্তন হয়ে গেল।