আগামী এক বছরের জন্য জি -২০ এর সভাপতিত্ব থাকবে ভারতের হাতে। জলবায়ু পরিবর্তন, আর্থিক মন্দা,সন্ত্রাসবাদের বিরদ্ধে লড়াই সহ একাধিক বিষয়ে প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধেই নজর দেওয়া হবে এই সম্মেলনে।
এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব দলকে পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। সোমবার সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রধানদের রাষ্ট্রপতি ভবনে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। রাজ্যের প্রধান হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লী যাবেন। এই বৈঠকে আরো অনেক দলের প্রধানেরাও যোগদান করবেন,যেমন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন, খরগে থেকে ডি এম কে প্রধান এম কে স্টালিন প্রমুখ। কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। গোটা দেশ জুড়ে জি-20 শীর্ষ সম্মেলন ছাড়াও 32টি বিষয়ে 200টি সম্মেলন হবে, এই বিষয়েও আলোচনা হবে সেই বৈঠকে। সর্বশেষ বৈঠকটি হয়েছিল ভিডিও কনিগারেশনের মাধ্যমে 2বছর আগে গালয়ানে ভারত – চীনের সেনার সংঘাতের পরে এই সর্বদলীয় বৈঠক টি হয়েছিল।
এক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নিজেই দলের নেতা দের জানাবেন কি ভাবে তিনি এক বছরের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার সামনে তুলে ধরবেন। এবং সবশেষে তিনি দল নেতাদের থেকে সহযোগিতাও চাইবেন।
জি-20 সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে ইতি মধ্যে বিরোধী দলের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। বিরোধী দল অভিযোগ তুলেছে জি-20 গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব সব দেশের কাছেই যাওয়া উচিত কিন্তু মোদী সেটিকে ব্যাক্তিগত সাফল্য হিসেবে বার বার তুলে ধরতে চাইছে। অনেকে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার অন্যতম প্রধান কারণ যাতে বাকি দল গুলি বিরোধিতা করতে না পারেন।