ভারতের সভাপতিত্বে আগামী ২২ থেকে ২৪ মে জি – ২০ ভুক্ত দেশগুলির পর্যটনমন্ত্রীদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কাশ্মীরের শের-ই-কাশ্মীর কনভেনশন সেন্টারে। সূত্র মারফত , দেশ বিদেশের প্রায় ৬০ জনের বেশি প্রতিনিধি যোগ দেওয়ার কথা । এরই মধ্যে গত শুক্রবার থেকে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করে চীনের বিদেশ মন্ত্রক। পাকিস্তানের সাথে সুর মিলিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর – কে বিতর্কিত অঞ্চল বলে দাবি করে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এই সম্মেলনের তীব্র বিরোধিতা করেন এবং এই সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান । পাল্টা বেজিংয়ের এই সিদ্ধান্তের কড়া জবাব দেয় নয়া দিল্লি। ভারতের তরফে জানানো হয় , নিজের দেশের অন্তর্গত যেকোনো স্থানে সম্মেলন করার অধিকার ভারতের আছে এবং নিজের ভূখণ্ডে কোথায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে সে সম্বন্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ভারত সরকার এ বিষয়ে অন্য কোনো দেশের পরামর্শ যে ভারত মেনে চলবে না , তা স্পষ্ট জানানো হয় ।
মন্ত্রক জানিয়েছে , চিনের এরূপ সিদ্ধান্তের ফলে সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে এবং এই সিদ্ধান্ত খুবই দুর্ভাগ্যজনক । বুদ্ধিজীবীদের মতে , চিনের এই মন্তব্যের পিছনে রয়েছে পাকিস্তানি মদত । প্রসঙ্গত , চলতি মাসে গোয়ায় সাংহাই অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের পরেই চিনা বিদেশমন্ত্রী কিন গাং উড়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তান এবং সেখানে পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি – র সাথে একটি বৈঠক করেন । সূত্র মারফত জানা যায় সেই বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ ওঠে কারণ প্রথম থেকেই উপত্যকায় জি-২০ সম্মেলন নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল পাক সরকার। লাদাখে সীমান্ত সমস্যার কারণে সেনা পর্যায়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে ভারত-চিন – এর মধ্যে । এর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই ইতিবাচক সমাধান মিললেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েই গেছে । তার মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে চিনের এই দৃষ্টিভঙ্গি সীমান্ত সমস্যার উদ্বেগের কারণ ।