২০২৩ সালের জি-২০ সামিটের নেতৃত্ব পদকে পাখির চোখ করে “ডিজিটল ইন্ডিয়া” গড়ে তোলার পথে আরও কিছুটা অগ্রগতি হতে চাইছে ভারত সরকার। কেন্দ্রের দাবি, দেশকে ডিজিটল করতে গেলে, ক্রিপ্টোকারেন্সি নামক যান্তব ধনকুবেরকে একেবারেই অবহেলা করা যাচ্ছে না। আর তাই, এই বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম তৈরির খসড়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
আগামী বছরে, জি-২০ নেতৃবর্গের সম্মেলন, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকতার ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থানের প্রেক্ষিতে বিশেষ সূচক বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারত যখন সভাপতিত্ব পাবে, তখন ত্রয়ীতে বাকি দুই সঙ্গী থাকবে , ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রাজিল। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশেরই দাবি, এই এক বছরে, ১৯টি উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের গোষ্ঠীনেতৃত্বকে কাজে লাগিয়ে শিল্প-বাণিজ্য, শক্তি-নিরাপত্তা, অর্থনীতির বিভিন্ন দিকে জাতীয় স্বার্থ আদায় করে নেওয়াটা ভারতের বিদেশনীতিতে অগ্রাধিকার পাবে।
উদ্ধৃত বিষয়গুলো বাদে, ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আলাদা করে আলোচোনা করারও একটা কারণ রয়েছে। করোনা মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতির যখন বেহাল অবস্থা, তখন একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, এই যান্তব ধনকুবেরে অর্থ লগ্নি করেছেন প্রায় ৭.৮৯ কোটি ভারতীয়। ইতিমধ্যেই যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ কোটি। বর্তমানে প্রথম স্থানে রয়েছে রাশিয়া, দ্বিতীয় স্থানে সুইডেন এবং ঠিক তার পরেই ১৩০ কোটির ভারতবর্ষ। অতীতে, ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে দেশের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারের টালমাটাল চিন্তাভাবনা থাকলেও, নিজেদের “দূরদৃষ্টি” থেকে খুব একটা নড়তে দেখা যায়নি তাদের। শোনা গিয়েছিল, একটি কড়া রেগুলেশনের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর পাহারা চালানো হবে।
সূত্রের খবর, ২০২৩ সালে সিংহাসনে বসার পর, উন্নত দেশগুলির সঙ্গে একটা কড়া পরিকাঠামো তৈরির সলাপরামর্শ করবেন নরেন্দ্র মোদী। কালো টাকার লেনদেন থেকে শুরু করে সন্ত্রাসে মদদ যোগানো, যে সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আরবিআই আপত্তি জানিয়েছে, সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে। কিন্তু, শোনা যায়, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি হবে না।
এবার প্রশ্ন একটাই, যে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ উন্নত দেশের তুলনায় অনেকটাই কম, সেই দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি কি আদৌও কুবের হয়ে উঠতে পারবে? কি হতে চলেছে তাহলে?