সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যতো , নেপচুনের দূরত্ব তার তিন গুণ (৪৩০ কোটি) কিলোমিটার। সৌরজগতের এক কোণে অন্ধকারময় অঞ্চলে নিজের কক্ষপথে ঘোরে এই গ্রহটি। নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ধরাপড়ে নেপচুনের সুস্পষ্ট ছবি। নেপচুনকে অতিকায় তুষারের গোলা বলে থাকে অনেকে। গত ৩০ বছরে নেপচুনের এত সুস্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়নি। জেমস ওয়েবক্যামেরার তোলা ছবিগুলিতে নেপচুনের বলয়গুলি অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে।
নেপচুনের বলয় সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের আগ্রহ বহুদিনের তবে উপযুক্ত প্রযুক্তির অভাবে নেপচুনের চার দিকের বলয় ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এর আগে ১৯৮৯ সালে নাসার ভয়েজার ২ মহাকাশযানের তোলা ছবিতে শেষ বারের মত দেখা গিয়েছিল নেপচুনের বলয়।
বিজ্ঞানীদের মতে, তিন দশক আগে নেপচুনের বলয়ের যে ছবি দেখা গিয়েছিল, সেটি ছিলো খুবই অস্পষ্ট সেই কারণেই সেই সময় নেপচুনের বলয় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা যায়নি। তবে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে পাঠানো ছবির গুলো খুবই স্পষ্ট। নেপচুনের বলয় নিয়ে গবেষণা করতে এই ছবি গুলি অনেকটাই সাহায্য করবে বিজ্ঞানী দের সেই কারণেই জেমস ওয়েবের ছবি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে।