বর্তমানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নত হয়েছে প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির জন্যই কোন দেশ রয়েছে শিখরে আবার কোন দেশকে শিখরের কাছেই মাথা নত করতে হচ্ছে বারবার। আর সাহায্য চাইতে গিয়ে বিপদে পড়ছে নানা দেশ। ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। এক কথায় শক্তিশালীর কাছে হেরে যাচ্ছে দুর্বল প্রযুক্তি। যে দেশের কাছে যত বেশি যন্ত্রপাতি সে দেশ তত শক্তিশালী। আর এই শক্তির ভুল ব্যবহারে মেতে উঠেছে অনেক দেশ। তাই এক দেশ আরেক দেশের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
দিন কয়েক আগের এক ঘটনা, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের জেরে হুয়াওয়েসহ চীনের পাঁচটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের পণ্য আমদানি ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটেন প্রশাসন চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলজি এবং জেডটিই থেকে নতুন টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামের অনুসন্ধান নিষিদ্ধ করেছে, কারণ এটি মার্কিন জাতির নিরাপত্তার জন্য ‘অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি’ তৈরি করেছে।
হুয়াওয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানিগুলির একটি, যেখানে মূলত মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের যন্ত্রপাতি তৈরি করে এই কোম্পানিটি। বিশ্বে মোবাইল ফোনের বাজারের ১৫ শতাংশ হুয়েওয়েই নিজেদের দখলে এনে নিয়েছে। হুয়াওয়ে ও চীন এত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের নিরাপত্তার কারনেই প্রধানত এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে অপরদিকে চীনের হাকভিশন কোম্পানী দাবি করেছে, তাদের প্রযুক্তি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কোনও ঝুঁকির উপস্থিতি নেই। এই কোম্পানির ডিভাইসে ভিডিও নজরদারি সরঞ্জাম এবং রেডিও সিস্টেম রয়েছে।
হুয়াওয়ে এবং চীন সরকার দীর্ঘদিন ধরেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। চীনা প্রযুক্তির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়ে এসেছে তারা। তাই মার্কিন প্রশাসন এখনো অভিযুক্ত কোম্পানিগুললির কর্মকাণ্ডের ওপর তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তাই মার্কিন-চীন সম্পর্ক নিয়ে যে উন্নতি আশা তৈরি হয়েছিল, তা শঙ্কায় রূপ নিল।