সময়টা ২০২২ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি সূত্রপাত রক্তক্ষয়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। রাশিয়ার এই ইউক্রেন আক্রমণ আন্তর্জাতিক ভাবে আগ্ৰাসন হিসাবে উল্লিখিত। গত দুবছর ধরে চলছে এই ভয়ংকর যুদ্ধ। পরিণতি কী তা কারোর জানা নেই। তবে এই যুদ্ধের আবহে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন লিথুয়ানিয়া সহ রুশ সীমান্তবর্তী অন্যান্য বাল্টিক দেশগুলি। ২৪শে মে, শুক্রবার লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান শত্রু দেশকে রুখতে সীমান্তে ড্রোনের প্রাচীর গড়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ রাশিয়াকে রুখতে ড্রোনের প্রাচীর তৈরি করছে ন্যাটো দেশগুলি। বিশ্লেষকদের অনুমান, লিথুয়ানিয়ার নিশানা হল মূলত “আগ্রাসী” মস্কো।
গত দুবছর তিন মাস ধরে চলা রাশিয়া – ইউক্রেন সংঘাতের ফলে রুশ সীমান্তবর্তী দেশগুলির নিরাপত্তা প্রথম থেকেই প্রশ্নের মুখে। সেই নিয়ে দেশগুলি যে বেশ উদ্বিগ্ন ও তা বলাবাহুল্য। সম্প্রতি জঙ্গি হামলা, অনুপ্রবেশ, পাচার প্রভৃতি কর্মকাণ্ড রুখতে রুশ সীমান্তবর্তী ন্যাটো দেশগুলি অর্থাৎ লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ড প্রভৃতি দেশগুলি বৈঠকে বসে। বৈঠকের পর লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাগ্নে বিলোতাইতে ঘোষণা করেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করার পর দেশগুলি একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। সীমান্ত গুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নরওয়ে থেকে পোল্যান্ড পর্যন্ত একটি ড্রোনের প্রাচীর তৈরি করা হবে। শক্তিশালী পরিকাঠামো ও উন্নত নজরদারি ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন – “আমরা সব সময় চাই শত্রু দেশ থেকে আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে। যে কোনও উস্কানিমূলক পরিস্থিতি ঠেকাতে ও পাচার আটকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শত্রুপক্ষের ‘হানাদার’ যান আটকাতে সীমান্তে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমও মোতায়েন করা হবে।” তবে এই পরিকল্পনা কার্যকর করার সময়সীমা স্পষ্ট ভাবে জানাননি অ্যাগ্নে।
২০২২ সালে রাশিয়া খারকভ শহর দখল করতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায়। তবে সেই ক্ষেত্রে পাল্টা বার করে ইউক্রেনীয় ফৌজ, পুনরুদ্ধার করে খারকভ শহর। তবে দুবছর আগের হারানো সেই গুরুত্বপূর্ণ শহরটিকে দখল করতে আবারও হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে এবারের হামলা একটু বেশিই প্রখর। যার মোকাবিলায় হিমসিম খাচ্ছে কিয়েভ। এই পরিস্থিতির প্রবল চাপে পড়ে খারকভ শহর থেকে পিছু হটছে ইউক্রেনীয় ফৌজ এমনকি সীমান্তের বেশ কিছু গ্ৰাম থেকেও সেনাবাহিনী সরিয়ে নিচ্ছে ইউক্রেন।