যুদ্ধের ১৩ তম দিন, যুদ্ধ এখনও জারি, তবে ইঙ্গিত মিলেছে শান্তির। এবার সুর নরম করলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বুঝে গিয়েছেন রাশিয়াকে এখনও বিশ্বের বহু শক্তিশালী দেশগুলি ভয় পায় তাই ন্যাটো আকাশ পথে বিমান পাঠিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেও তার প্রতিফলন শুধু প্রত্যাশা মাত্র। তাই তিনি বলেছেন তিনি এমন একটি দেশের রাষ্ট্রপতি হতে চান না যে দেশটি ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য হাঁটু গেড়ে ভিক্ষা চাইবে। টিভি সাক্ষাৎকারে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জেলেনস্কি।
অপরদিকে ইউক্রেনের ডোনেস্ক ও লুগানস্ক-এই দুটি রুশ সমর্থনপুষ্ট স্বায়ত্তশাসিত এলাকার বর্তমান অবস্থা নিয়েও তিনি আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। এই দুটি রাশিয়াপন্থী এলাকাকে স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা করে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন পুতিন। ২০১৪ থেকে ওই দুটি অঞ্চলের সঙ্গে কিয়েভের সংঘাত শুরু হয়েছিল। এখন রাশিয়া চায়, ইউক্রেনও যেন এই দুই অঞ্চলকে স্বাধীন ও সার্বভৌম হিসেবে ঘোষণা করে। এক্ষেত্রে জেলেনস্কি বলেছেন রাশিয়াকেও ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিশ্চয়তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেছেন, ওই দুটি অঞ্চলকে রাশিয়া ছাড়া আর কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। ওই দুটি তথাকথিত প্রজাতন্ত্র কীভাবে টিকে থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা করে একটা সমঝোতা সূত্র বের করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, এ সমস্ত ব্যাপারে পুতিনের উচিত আলোচনা শুরু করা।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন ঘিরে রাশিয়ার সৈন্য মোতায়েন করার প্রধান কারণ হল ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দিতে পারে। রাশিয়ার প্রধান দাবি হলো ন্যাটো ইউক্রেনকে কোনোদিন সদস্য বানাবে না সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেন যোগ দিলে দেশটিতে ন্যাটোর সেনারা আসবেন। এ বিষয়টিকে রাশিয়ার জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তাই জেলেনস্কি এই বক্তব্য যুদ্ধবিরতির সহায়ক হলেও হতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কূটনীতিবিদরা।