গত বছর সেপ্টেম্বরে তারকা ফুটবলার পেলে, মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। কিছুদিন পর তা অস্ত্রপচার করা হলেও বিভিন্ন কারণে হাসপাতালে তাকে যেতে হতো। তিন সপ্তাহ আগে গত মঙ্গলবার হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও কোভিড নিয়ে হাসপাতালে আবারও ভর্তি হন বিখ্যাত ফুটবলার। সম্প্রতি শনিবার ব্রাজিলের সংবাদপত্র ‘ফোলহা ডে সাও পাওলো’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ-এর মাধ্যমে জানান ফুটবলার পেলের শারীরিক পরিস্থিতি অতি সংকটজনক। প্রকাশিত খবরে অসন্তুষ্ট হয়ে এই প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন ফুটবলার পেলের পরিবারের সদস্যরা, পেলের মেয়ে কেলিও জানিয়েছেন, তিন সপ্তাহ আগে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন পেলে, তারপর থেকে তার শ্বাস নেওয়ার সমস্যা দেখা গিয়েছিল। কেলি বলেছেন বাবা অসুস্থ , বয়স হয়েছে ওনার। এখন শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা চলছে, একটু ভালো হলে বাড়ি ফিরবেন। পেলের শারীরিক অবস্থা মোটেও অতি সংকটজনক নয় অসুস্থ হলেও স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি ।
ফুটবল পেলের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে গ্লোবাল টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পেলের আর এক মেয়ে ফ্লাবিয়া বলেন অনেকে বলেছেন বাবা মৃত্যুর মুখে রয়েছেন তাকে রাখা হয়েছে ‘পালিয়া টিভি’ কেয়ারে। যারা এই খবর প্রচার করেছেন তারা ঠিক করছেন না, আমাদের বিশ্বাস করুন পরিস্থিতি একদমই তেমন নয়। তবে সাও পাওলো আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের তরফ থেকে জানা গেছে পেলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল , ফুসফুসের সংক্রমিত চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন ৮২ বছরের ফুটবলার । ২৪ ঘন্টা নতুন করে তার শারীরিক পরিস্থিতির কোনো অবনতি ঘটেনি। ফ্লাবিয়া অস্বীকার করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তারকা ফুটবলারকে রাখা হয়েছিল পেলিয়াটিভ কেয়ার এর নজরদারিতে। রবিবার হাসপাতালে রিপোর্টের ছবি দেখিয়ে ফুটবলার নিজেও ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীতে আশ্বস্ত করেন যে তিনি অসুস্থ নন। তিনি তার এই পোস্টের মাধ্যমে লেখেন আমি শক্তিশালী রয়েছি, যথেষ্ট আশাবাদী আমি । যথাযথভাবে চিকিৎসা চলছে আমার, সব চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ জানাতে চায় ওরা খুব যত্ন করছে আমাকে। তিনি আরো লিখেছেন ঈশ্বরের উপর আমার প্রচুর আস্তা রয়েছে সারা বিশ্ব থেকে ভালোবাসা মাখানো অসংখ্য বার্তা আমাকে প্রাণশক্তিতে ভরপুর করে রেখেছে। তিনি তার এই পোষ্টে নিজের ইচ্ছে প্রকাশের মাধ্যমে জানান বিশ্বকাপে ব্রাজিলের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি।