অনেক গবেষণার পর স্কিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর গবেষকরা আশার আলো দেখছেন। তাদের মতে এই টিকার প্রথম পর্যায়ে সাফল্যের হার ৯৭ শতাংশ।
এই নতুন(HIV)টিকা মানবজাতির শরীরে এক অত্যন্ত বিরল প্রতিরোধী কোশগুচ্ছকে জাগিয়ে তুলবে, এর ফলে মারন ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। এই ভাকসিন শুধু এইচআইভি নয় জ্ঞান ফ্লু,হেপাটাইটিসি-সি, ও করোনা ভাইরাস চিকিৎসা ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করা যায়।
গবেষকরা জানান এইচআইভি ভাইরাস সহজেই এন্টিবডি প্রোটিন কে ধোকা দেয় কারণ তারা খুব তাড়াতাড়ি রূপ পাল্টে ফেলে নিজেদের। যাতে মানবদেহের অ্যান্টিবডি প্রোটিন গুলো তাকে বুঝতে না পারে। তবে এই নতুন ভ্যাকসিন ভাইরাস কে চিনে নিয়ে তার উপর আক্রমণ করতে সাহায্য করবে।
গত শতাব্দীতে ৮ এর দশকে হিউম্যান ইমিউনো ইফিসিএন্সি ভাইরাস (এইচআইভি প্রতিরোধক ভাইরাস) এর টিকা র মাধ্যমে মানবজাতির ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় কিন্তু তা ৩১ শতাংশের উপরে ছিল না। এই ভ্যাকসিন বাজারে প্রকাশ করার জন্য who এর তরফ থেকে কোন অনুমতি পত্র পায়নি যেহেতু এটির সময়সীমা এক বছরের বেশি ছিল না।
এই মারন রোগের প্রকোপ সারা বিশ্বে এখনো পর্যন্ত ৪কোটি মানুষ মারা গেছেন গত বছর এই এইচআইভি রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫লাখ ৫০ হাজার ও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ। তাড়াতাড়ি যাতে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায় তাই জন্য স্কিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ‘মেসেঞ্জার আর এন এ’পদ্ধতির সাহায্যে আরো তাড়াতাড়ি অনেক বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন তৈরির করার কথা ভাবছে।