কলকাতা শহরের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানান ঐতিহাসিক কামান। কোনটা ২০০ বছর পুরোনো কোনটা ২৫০ বছর পুরোনো। আর এর পরই মাটি খুঁড়ে ২৫০ বছরের বেশি পুরনো কামান পাওয়া গেলো দমদমের যশোর রোডে। শুধু ইতিহাসের পিপাসুদের নয় সমস্ত মানুষের কাছেই আকর্ষণীয় ছিল এই কামানটি। সম্ভবত ১৭৭০ সালে কামানটি তৈরি করা হয়েছিল। ৬টন ওজনের এই কামানটি ১৮ কেজি ওজনের গোলা ১২০০ থেকে ১৫০০ গজ দূরে ছুঁড়তে পারে।
২৫০ বছরের বেশি সময় ধরে মাটির তলায় চাপা পড়েছিল এই ঐতিহাসিক কামানটি। জানা যায়, এতদিন কামানটি অবহেলায় পড়েছিল মাটির নীচে। কিছুটা অংশ দেখাও যেত। কিন্তু দেখেও সবাই অবহেলা করতো। কামানটির এক ফুট মাটির উপরে ছিল। বাকি ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি ছিল মাটির নীচে। তারপর দমদম পুরসভা, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ও সিইএসসিদের সহযোগিতায় প্রায় ১৫দিনের চেষ্টায় এই কামানটিকে মাটির নিচ থেকে খুঁড়ে বের করা হয়।
সূত্রের খবর, দমদমে যশোর রোড থেকে ক্লাইভ হাউজের দূরত্ব প্রায় ১ কিমি। সম্ভবত কামানটি যুদ্ধের কাজে লাগানো হয়েছিল। পরে দমদম সেন্ট্রাল জেলে ঢোকার মুখে সেটি রাখা হয়েছিল। তারপর সেখানে জঞ্জাল ফেলে ভরতি করে দেওয়া হয়েছিল। তবে এই কামানটি আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের জুডিশিয়াল মিউজিয়াম অ্য়ান্ড রিসার্চ সেন্টারে পাঠানো হবে, কারণ এটা আপাতত আদালতের সম্পত্তি। তবে এই কামানের পেছনে আরও কোনও ইতিহাস লুকিয়ে আছে কিনা তা ক্ষতির দেখবেন ইতিহাসবিদরা।