কবিগুরুর ভাষায়, মানুষের একাকিত্বের একমাত্র বন্ধু হলো বই আর মেলবন্ধনের সর্বশ্রেষ্ঠ কেন্দ্রস্থল…. মেলা। তবে, এই বই যখন নিজে থেকেই গুটি গুটি পায়ে যুবসমাজের মাঝে এসে উপস্থিত হয়, তখন তো আর কথাই নেই!
গত ৮ই সেপ্টেম্বর, আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বেহালা কলেজে আয়োজন করা হলো দু’দিন ব্যাপী একটি বইমেলার। নানান প্রকাশনী সংস্থার মাঝে উপস্থিত ছিল বাংলা সাহিত্যের অন্যতম নামকরা সংস্থা পারুল প্রকাশনী। “গ্রন্থ সেবা”-র প্রধান উদ্যোক্তা, শ্রীমতি প্রতিতী মজুমদার বলেন,’নতুন যুগে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হাতে বই নিয়ে পড়ার একটা অনিহা দেখা দিয়েছে। ছেলেমেয়েদের কাছে বইয়ের বন্ধুত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের একটা বাড়তি আয়ের সুযোগও করে দেয় এই বইমেলা।’
নতুন – পুরাতনে যেন মিলে মিশে একাকার চার দেওয়াল। যেমন পাওয়া যাচ্ছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়েদের লেখা অনবদ্য সব রচনা, তেমনই রয়েছে দেবারতি মুখোপাধ্যায়, সায়ক আমানদের বই। পাঠ্য পুস্তকেরও কোন অভাব নেই। বর্ষীয়ান উদ্যোক্তার দাবি,’বই পড়ার কোন বিকল্প হয় না। প্রথম দিন যে হারে ভীড় জমিয়েছে সবাই, তাতে কর্তৃপক্ষ আপ্লুত। এছাড়া, অনেক ছাত্রছাত্রী আছে, যারা বিভিন্ন ভাবে গ্রন্থাগারের সঙ্গে যুক্ত। তাদের কাছেও একটা বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি হয়। উদ্দোগটির নাম ‘আর্ন হোয়েন ইউ লার্ন’, অর্থাৎ, শিক্ষার সাথে, আয় হবে হাতে।’
এছাড়া, কলেজের অধ্যাপকদের লেখা বিভিন্ন বইও প্রর্দশন করা হয়েছিল- দেখা মিলেছে হস্তশিল্পের নিপুণ কারিগরি। হাতে বোনা ছোট্ট ছোট্ট ব্যাগ, সাদা সুতোয় কারুকার্য খচিত খাতা, ওপার বাংলার সংস্কৃতি, লোকসঙ্গীতের বিস্তারিত ইতিহাস। আর রয়েছে প্রত্যেকের মুখে একটা স্মিত হাসির রেশ। মন বলছে, আগের বছর, আবার হবে…..আরো বড়ো করে!