সালটা ছিল ২০১৮ র ২৭ অক্টোবর, সেই সময় চলছিল ফিরোজ শাহ কোটলায় (সেটির নাম পরিবর্তন করে হয়েছে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম) দেও ধর ফাইনাল। সেই সময় ভারতীয় ‘বি’ ও ‘সি’ দল ছিল মুখমুখি। সেই ম্যাচে অজিঙ্ক রাহানে ও শ্রেয়স আইয়ার দূর্দান্ত ম্যাচ খেলে সবাইকার মন জয় করে নিয়েছিল। তবে সেই ফাইনাল ম্যাচটি মনে থকবে একটি অন্য কারনে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর পর যখন সব খেলোয়াড়রা কোটলার ওল্ড প্যাভিলিয়নের কাছে কথপোকথনে মও ছিলেন, ঠিক তখনই একজন দর্শক আনন্দিত হয়ে বাউন্ডারি পেরিয়ে মাঠের মধ্যে প্রবেশ করে, এবং সেখানে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে ধরে ফেলে। সেই দর্শকটিকে যখন নিরাপত্তা রক্ষীটি গায়ে হাত তুলতে যাবে ঠিক তখনই একজন ১৯ বছর বয়সী এক যুবক সেই নিরপত্তা রক্ষীকে বাধা দেয়। তাকে ছেড়ে দিতে বলা মাএই সেই সমর্থকটি তাঁর পায়ে এসে পড়ে। সাধারণ ভাবেই কোনো প্লেয়ারের পায়ে হাত দিলে সে লজ্জা পেয়ে থাকেন। কিন্তু এইটা ছিল একটু ব্যাতিক্রম। তাঁর পায়ে হাত দেওয়ার পরও তাকে কিছু বলেননি। বরং সম্মানিত হয়ে তিনি সেটি উপভোগ করেন। তিনি নিরপত্তা রক্ষীদের জানান যে কোন রকম সমর্থকদের ওপর খারাপ ব্যবহার করা যাবে না।
১৯ বছর বয়সী সেই যুবকটি হলেন ‘শুভমান গিল’।শুভমানের এই জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে এক কঠোর পরিশ্রম ও পরিবারের আত্মত্যাগের সমর্থন। তার বাবা ছিলেন পেশায় একজন চাষি।শুভমানের এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে এত দূর এসে পৌঁছানোর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্প রাহুল দ্রাবিড়ও।