বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস যেমন: সূর্যের আলো ও তাপ, সৌরশক্তি, বায়ু প্রবাহ, জলপ্রবাহ, জৈব শক্তি (জৈবভর), ভূ-তাপ, সমুদ্র তরঙ্গ, সমুদ্র-তাপ, জোয়ার-ভাটা, শহুরে আবর্জনা, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তিগুলি প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এবং ব্যাপক উৎপাদন ও বাজার প্রতিযোগিতার সুবিধার মাধ্যমে সস্তা হয়ে উঠছে।
জলসেচের ক্ষেত্রে তরল জ্বালানিতে চলা পাম্পগুলির তুলনায় সৌরশক্তি চালিত পাম্পগুলির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেক কম।
যেমন সৌর তাপীয় শক্তি দিয়ে আমরা সূর্যের শক্তিতে জল গরম করতে পারি এবং এর সুবিধা নিতে পারি যাতে এই শক্তি খাতে, আমাদের জীবাশ্ম বা অন্য শক্তি ব্যবহার করতে না হয়। সৌর তাপশক্তি ব্যয় হ্রাসে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে, এর ফলে জ্বালানী এবং CO2 নির্গমন হ্রাস যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণ হয় এবং জলবায়ু পরিবর্তন ট্রিগার।
পৃথিবীতে সূর্য উজ্জ্বল, ভূমি বা সমুদ্র, পর্বত বা দ্বীপগুলি কিনা সর্বত্র এবং সাম্প্রতিক বিকাশ ও সরাসরি ব্যবহার, এবং খনির এবং পরিবহন ছাড়াই যায়।
সৌর শক্তির বিকাশ ও ব্যবহার পরিবেশকে দূষিত করবে না, আজকের ক্রমবর্ধমান গুরুতর পরিবেশ দূষণের মধ্যে এটি সবচেয়ে পরিষ্কার শক্তি এবং এটি অত্যন্ত মূল্যবান।
প্রতি বছর সূর্য পৃথিবীর পৃষ্ঠের বিকিরণে প্রায় 130 ট্রিলিয়ন টন মান কয়লার সমান হয়, এবং এর মোট এখন বিশ্বের বৃহত্তম শক্তি যা উন্নত করা যেতে পারে।
সূর্যের দ্বারা উত্পন্ন পারমাণবিক শক্তির বর্তমান আনুমানিক হার অনুসারে, কোটি কোটি বছর বজায় রাখার জন্য হাইড্রোজেন সংগ্রহ যথেষ্ট পরিমাণে হলেও লক্ষ লক্ষ বছর ধরে পৃথিবীর জীবন সম্পর্কেও এই অর্থে বলা যেতে পারে যে সূর্যের শক্তি অখাদ্য।
তবে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়েই জলসেচের ব্যবহার হয়। অন্য সময়ে সৌর প্যানেলগুলি বিনা কাজে পড়ে থাকে। এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়ে রূপায়ণের উদ্যোগ নিলে পাম্পগুলিকে অন্য সময়ে কাজে লাগিয়ে গৃহস্থালির বিদ্যুতের প্রয়োজনও মেটানো সম্ভব।
আধুনিক জীবনের প্রায় সবকিছু নির্ভর করে বৈদ্যুতিক শক্তির ওপর,অনিয়মিত মৌসুমী বায়ু প্রবাহের দরুণ সৃষ্ট অস্বাভাবিক গরম কিংবা রমযান মাসেও লোড-শেডিং চলছে নৈমিত্তিক।
ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে পাঁচ গুণ। কয়লা ব্যবহারের ফলে গ্যাসের নির্গমণ হবে চার গুণ বেশি। আরও কয়লা আমদানি করতে হবে যার জেরে প্রথাগত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্রমশই খরচাসাপেক্ষ হয়ে উঠবে। জলবিদ্যুৎ অবশ্যই একটি বিকল্প। বায়ু ও সৌরশক্তিকেও বর্তমান ক্ষমতার সঙ্গে সংযুক্ত করা গেলে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে, অথচ পরিবেশের উপর চাপ পড়বে না। ইকনোমেট্রিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে বর্তমান ক্ষমতার সঙ্গে বার্ষিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি সহ আরও ১০ শতাংশ জলবিদ্যুৎ, বার্ষিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি সহ আরও ১০ শতাংশ বায়ুবিদ্যুৎ এবং ১ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি সহ আরও ৫ শতাংশ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন যোগ করতে পারলে আমাদের ভবিষ্যতের যাবতীয় বিদ্যুতের চাহিদা মিটে যাবে।
বায়ু থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ইতিমধ্যেই কয়লা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতিযোগী। ভবিষ্যতে বায়ু শক্তি আমাদের নানাভাবে উপকারে আসবে যেমন বায়ু শক্তি পরিষ্কার শক্তি একটি উৎস। বায়ু শক্তি সুবিধা বৃদ্ধি পায়, ভর উৎপাদন খরচ হ্রাস করে, এবং বায়ু শক্তি খরচ সঠিক জায়গায় অন্যান্য জেনারেটরের চেয়ে কম।
বায়ু শক্তি সুবিধাগুলি বেশিরভাগ ত্রিমাত্রিক সুবিধা যা ভূমি এবং বাস্তুসংস্থান রক্ষা করে।
বায়ু শক্তি একটি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎস যা পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং পরিষ্কার।
বায়ু শক্তি প্রজন্ম শক্তি দক্ষ এবং পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ।
এটি একটি নবায়নযোগ্য শক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম। একবার যদি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা সম্ভব হয়, খুব কম শক্তি ব্যয়ের মাধ্যমে এটি চালানো যায়। এবং এটা জীবাশ্ম জ্বালানী, যেমন: তেল, গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় খুব কম পরিমাণে গ্রীনহাউস গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করে।জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা হলো তুলনামূলকভাবে খুব কম খরচে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। তাছাড়া এ প্রযুক্তি পরিবেশবান্ধব।
বর্তমান বিশ্বে তেল, কয়লা, গ্যাস বা পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহারের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তার উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। সেই তুলনায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অনেক কম। বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
জীবাশ্ম জ্বালানি গুলো যেহেতু সীমিত তাই ভবিষ্যতে জ্বালানি ব্যবস্থা নির্ভর করবে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। এছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণ জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ওপরে মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। এছাড়াও কিছু নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌরশক্তি, বায়োম্যাসর জন্য তুলনামূলক
অনেক জায়গার প্রয়োজন হয় বলে মনে করেন অনেকেই।
যদিও বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ক্রমাগত গবেষণা এবং রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার ফলে সৌর বিদ্যুতের দাম কমে এসেছে এবং ইতিমধ্যেই কয়লা থেকে তা উৎপাদিত দামে বিক্রয় হচ্ছে.