বুধবার পৃথিবীর দিকে তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে এক বিশাল গ্রহাণু এমনটাই জানিয়েছে নাসা দপ্তরের বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি মহাজাগতিক বস্তু খন্ড তারই মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি বস্তু খন্ডের নাম জানা সম্ভব হয়েছে। এই বস্তুখন্ডের পোশাকী নাম অ্যাস্টেরয়েড। কিন্তু কি এই অ্যাস্টেরয়েড? এর কাজই বা কি? জানা গেছে, অ্যাস্টেরয়েড হল মহাকাশে অবস্থিত এক পাথরের তৈরি মহাজাগতিক বস্তু খন্ড । এই বস্তু খন্ডটি তৈরি হয়েছিল মহাকাশের মধ্যেই, সেই সময় থেকেই মহাকাশের চারিদিকে ছড়িয়ে অবস্থান করে এই অ্যাস্টেরয়েড। যেহুতু এই অ্যাস্টেরয়েড সদা গতিশীল তাই জন্যই এই অ্যাস্টেরয়েড অনবরত ঘুরতে ঘুরতে থাকে, এবং ঘুরতে ঘুরতেই কোনো না কোনো গ্রহের আকর্ষণে পরে যায়। এই অবস্থায় যখন এই অ্যাস্টেরয়েড গুলি পৃথিবীর বলয়ের মধ্যে পড়ে ঠিক তখন তারা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে।
নাসা এই বিশাল গ্রহাণুর নাম দিয়েছে অ্যাস্টেরয়েড ২০২২ আরএ৫। নাসা আরও জানিয়েছে যে,এটি ১২০ ফুট লম্বা। এটির গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৮,২৫২ কিলোমিটার। নাসার একটি সেল রয়েছে, প্ল্যানেটরি ডিফেন্স ও কো-অর্ডিনেশন অফিস যাদের কাজ হল এই নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট নিয়ে গবেষণা করা , তাদের উপর নজর রাখা ও এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা। তারা বলছে, এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের আশঙ্কা বেশ কমই। অ্যাস্টেরয়েড ২০২২ আরএ৫ নামক এই গ্রহাণুটি আজ, ১২ অক্টোবর অন্তত ৫০ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসছে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই নিয়ে বেশ চিন্তার মধ্যে আছেন নাসা দপ্তরের অভিজ্ঞরা।
জানা গেছে,এর আগে অক্টোবর মাসে নাসা এইরূপ সতর্কবার্তা দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী ছ- তলা বাড়ির সমান এক বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে আসার আশঙ্কা ছিল। যদিও এই গ্রহাণুটি সেপ্টেম্বর মাসে দেখা গিয়েছিল। ওই বিশাল গ্রহাণুটি ৩৩,২৬৪ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এমন টাই জানিয়েছিল নাসার বিশেষজ্ঞরা। যদিও সেই সময় অ্যাস্টেরয়েড ২০২২ এসজে২৮ নামক এই গ্রহাণুটি তার গতি পরিবর্তন করে পৃথিবীর অভিমুখ থেকে দূরে চলে গেছিল। সম্প্রতি ডার্ট মিশন সফলভাবে শেষ করেছে নাসা। আগামী কয়ে মাস বিপুল পরিমাণ তথ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন নাসার বিজ্ঞানীরা।