প্রথম থেকেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ইউক্রেনের কোনও অংশ রাশিয়া যদি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তার ফল ভাল হবে না। আমেরিকা সহ একাধিক পশ্চিমি দেশ রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রথম দিন থেকেই নিন্দা করেছে। এবার পশ্চিমি বিশ্বকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তারপর থেকে প্রায় সাত মাস ধরে রুশবাহিনী ধীরে ধীরে ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে। তবে সম্প্রতি ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পিছু হটতেও শুরু করেছে রুশ সেনা। এই আবহে সেনার গতিবিধি বাড়াল রাশিয়া। আংশিকভাবে সেনার গতিবিধি বৃদ্ধির জন্য একটি নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
আসলে মনে করা হচ্ছে, এই চুক্তি স্বাক্ষরের আড়ালে পশ্চিমি দেশকে হঁশিয়ারিই দিলেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি টেলিভিশন ইন্টারভিউয়ে জানিয়েছেন, পশ্চিমি দেশ রাশিয়াকে ধ্বংস করতে চায় । এর প্রত্যুত্তরে বিপরীত আচরণকারী পশ্চিমি দুনিয়াকে শিক্ষা দিতে চান তিনি । শিক্ষা দেওয়া মানে, তাদের প্রতিরোধ করা। পশ্চিমি বিশ্বের আক্রোশ থেকে রাশিয়ার ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে তাই প্রায় ৩০ লক্ষ সেনা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন পুতিন।তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে যেসব নাগরিক সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করছেন এবং সামরিক বিষয়ে বিশেষত্ব ও প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের নিয়োগ করা হতে পারে। তিনি বলেছেন, পশ্চিমি দেশ তাঁদের নিউক্লিয়ার থ্রেটের মুখে ফেলছে। এরই পাল্টা পশ্চিমি দেশকে একপ্রকার জবাব দিয়েই তিনি বলেন, পশ্চিমের এই ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য রাশিয়ার ভাণ্ডারে যথেষ্ট অস্ত্র সজ্জিত রয়েছে। তিনি আরও স্পষ্টও করে জানান, নিজের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য দরকার পড়লে রাশিয়া এই সব অস্ত্র ব্যবহার করবে।