“চোখ তো সবুজ চায় , দেহ চায় সবুজ বাগান” , কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের “আমি দেখি” কবিতার লাইনগুলি ১৯৮০ সালে রচিত হলেও কবি সবুজ নাশের যে আক্ষেপ করেছেন তা বর্তমান যুগের সাথে গভীর সংযোগ সৃষ্টি করেছে ।
সবুজ বিনাশ করে কৃত্রিম পৃথিবী গড়ার কাজে মত্ত জীবকূল দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে সবুজ ছাড়া গতি নেই । সময়ের হাত ধরে তাই এসেছে বিভিন্ন অপ্রচলিত শক্তির উৎস । প্রকৃতির জিনিষ কাজে লাগিয়ে প্রাকৃতিকভাবেই , দূষণহীন ভবিষ্যতের কান্ডারী এখন জল , বায়ু এবং সূর্য । এই সমস্ত প্রাকৃতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন হচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাহিদাগুলি । গাছ রক্ষার জন্য সরকারের তরফেও নানা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে । বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক তা পালনও করা হচ্ছে ।
কিন্তু এত কিছুর পরেও কী সচেতন হয়েছি আমরা ? গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং ওজন স্তরের ছিদ্র চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিজ্ঞানী মহলে । বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাস দূষিত করছে যেমন পৃথিবীকে তেমনই মানুষের বিভিন্ন নতুন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে ।
প্রকল্প গৃহীত হলেও সমস্ত মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব এই পরিস্থতিকে আরও ভয়ঙ্কর দিকে নিয়ে যাচ্ছে । প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে পৃথিবীতে অপ্রচলিত শক্তির উৎস এবং বিভিন্ন দূষণ মুক্ত পদ্ধতি বর্তমান । কিন্তু সেই বিষয়গুলি প্রচলিত বিষয়ের জায়গায় পুরোপুরিভাবে আমরা গ্রহণ করে উঠতে পারিনি । তাই ভবিষ্যতের বাসযোগ্য পৃথিবী একমাত্র এই উপায়গুলির অবলম্বনের মাধ্যমেই সম্ভব , তার পরিধি বাড়াতে হবে সরকারকে এবং জনসাধারণকে বাড়তি তাগিদ নিতে হবে । তবেই এক সুন্দর সবুজ সকাল পাওয়া যাবে
।