২০১৯ সালে ৩৪ তম স্থান, ২০২০ সালে ৪১ তম স্থান এবং ২০২১ সালে ৩৭ তম স্থান দখলের পর চলতি বছরে ফোর্বস ম্যাগাজিনে বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাশালী মহিলাদের তালিকায় ৩৬ তম স্থান অধিকার করে নিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
নির্মলা সীতারামন ছাড়া ও বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাশালী মহিলাদের তালিকায় স্থান দখল করে নিয়েছেন আরও ৫ জন ভারতীয়। তারমধ্যে বাঙালিও রয়েছেন একজন। তিনি হলেন এই তালিকায় ৬৭ তম স্থান দখলকারী `স্টীল অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ র চেয়ারপার্সন সোমা মন্ডল। আরও ৪ জন তালিকাভুক্ত ভারতীয় মহিলা হলেন যথাক্রমে ৫৩ তম স্থান দখলকারী এইচসিএল টেক এর চেয়ারপার্সন রোশনী নাদার মালহোত্রা, ৫৪ তম স্থান দখলকারী সেবি-র চেয়ারপার্সন মাধবীপুরী বাগ, ৭২ তম স্থান দখলকারী বায়োকন একজিকিউটিভ চেয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার-শ , এবং ৮৯ তম স্থান দখলকারী নাইকার কর্ণধার ফাল্গুনী নায়ার।
প্রসঙ্গত, সেল-এর ইতিহাসে সোমা মন্ডল-ই প্রথম মহিলা যিনি ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে সেল-এর চেয়ারপার্সনের পদে নিযুক্ত হন এবং শুধু তাই নয় ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী তাঁর পদক গ্রহণের প্রথম বছরেই কোম্পানির রাজস্ব তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১২০ বিলিয়ন টাকায় পরিণত হহয়েছ। আবার শিব নাদারের এইচসিএল টেকনোলজিকে আলাদা উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে ফোর্বসে নজির গড়লেন নাদার কন্যা রোশনী নাদার মালহোত্রা। গত ১লা মার্চ সেবি-র প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন পদে বসেই ফোর্বসের তালিকায় নাম নথিভুক্ত করলেন মাধবীপুরী বাগ।
বায়োকন-এর কর্ণধার কিরণ মজুমদার-শ ১৯৭৮ সালে এই কোম্পানি চালু করেছিলেন এবং বর্তমানে এটি রাজস্বের নিরিখে দেশের বৃহত্তম বায়োফার্মাসিকিউটিক্যাল ফার্ম নামে খ্যাত। এর আগেও বায়োকন-এর কর্ণধার ফোর্বসের এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন। নাইকার কর্ণধার সম্পর্কে ফোর্বস জানিয়েছে, একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হিসেবে তিনি অন্যান্য উদ্যোগপতিদের স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করেছেন। ২০১২ সালে তিনি নিজের কোম্পানি শুরু করেন। প্রায় দুই দশক এই ক্ষেত্রে কাজ করার পর তিনি কোম্পানির সূত্রপাত করেই প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার সেই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। গত বছর তার কোম্পানি শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত হয়। এর পরেই তিনি ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা হিসেবে পরিচিতি পান।