সম্প্রতি একটি বাংলা সিনেমার দু’টো পংক্তি খুবই ভাইরাল হচ্ছে – গাড়ি গড়াতে যেমন চাকা লাগে, কলিযুগে বাঁচতে গেলেও টাকা লাগে। কিন্তু, এই টাকা যখন অতর্কিতে এসে বিপুল পরিমাণে বাড়ির সদর দরজায় হানা দেয়, তখন কি হয় জানেন?
সম্প্রতি, ওনাম বাম্পার লটারি কেটে প্রথম পুরস্কার বাবদ প্রায় পঁচিশ কোটি টাকা জিতেছেন তিরুবনন্তপুরমের বাসিন্দা কে অনুপ। আর এই খবর চাউর হতেই যতো গোলোযোগ! কে অনুপ সোশ্যাল মাধ্যমে জানিয়েছেন, এই পুরস্কারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই, বিভিন্ন ধরনের লোক এসে তাঁর বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছে। কখনও তারা তাঁর বিষয় সম্পত্তি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে তো কখনও আবার ঘরে লক্ষ্মী এসে পৌঁছেছে কিনা জেনে যাচ্ছে! বিষয়টি নিয়ে এমনই আতঙ্ক সৃষ্টি হয় তাঁর মনে যে শেষ মেষ তিনি বলেই ফেলেন,’প্রথম পুরস্কার মাথায় থাক! পাঁচ সাত হাজার টাকা জিতলেই ভালো হতো। অনন্ত নিশ্চিন্তে ঘুমোতে তো পারতাম রাতে।’
সংসারের হাল ধরতে পরিকল্পনা ছিল মালেশিয়া গিয়ে শেফের চাকরি করার। বিগত বিশ বছর ধরে লটারির টিকিট কাটার পর মনে করেছিলেন, এই শেষ বার! তবে কথায় বলে না, জব উপরয়ালা দেতা হ্যায়, ছপ্পর ফাড়কে দেতা হ্যায়! এটাই হয়েছে কে অনুপের সঙ্গে। কিন্তু, এখন সমস্যা হচ্ছে, এই ভাঙা ছাদ দিয়ে যদি কোন ধূর্ত ঘুঘু ঘরে ঢুকে আসে, তখন ভগবান বাঁচাবেন তো? নাকি শুধু আশীর্বাদ করেই খালাশ! এক আত্মীয়ের বাড়িতে বসে এখন দিনরাত এটাই ভাবছেন লটারি বিজেতা।