আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার (আইসিসি) আগামী চার বছরের (২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল) আয় বণ্টনের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। বরাবরের মতো এবারও আয়ের সিংহ ভাগ পাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আইসিসির আয়ের প্রায় ৪০ ভাগ পাবে তারা। অর্থাৎ বছরে তারা প্রায় ২৪৯২ কোটি টাকা (২৩১ মিলিয়ন ডলার) পাবে।
ভারতের সঙ্গে এতদিন যে দুটি দেশকে ‘বিগ থ্রি’ তালিকায় রাখা হত, সেই দুটি দেশের বরাদ্দের ভাগ সাত শতাংশও পার করেনি। পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো অন্য়ান্য সদস্য দেশগুলি যে অর্থ পাবে, তা একেবারে নগণ্য। আপত্তি করেছিল পাকিস্তান, কিন্তু সেই আপত্তি না মেনে লাভের সিংহভাগ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে দিতে চলেছে আইসিসি। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির বৈঠক রয়েছে। সেখানেই এই বিষয়ে সিলমোহর পড়ার কথা।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী,ভারতীয় বোর্ড যে অঙ্কটা পাবে, সেটার ধারেকাছেও নেই অন্য কোনও বোর্ড। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়ের ভাগ পাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। প্রস্তাবিত মডেল অনুযায়ী, বছরে আইসিসির আয়ের ৪১.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে বেন স্টোকসদের বোর্ড। যা শতাংশের বিচারে ৬.৮৯। তৃতীয় স্থানে থাকবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। বছরে আয়ের ৩৭.৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে আইসিসি (৬.২৫ শতাংশ)।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন,কোন দেশের ক্রিকেট বোর্ড কত টাকা পাবে তা নির্ভর করে তিনটি বিষয়ের উপর। ১) ক্রমতালিকায় সেই দেশের অবস্থান। ২) আইসিসি প্রতিযোগিতায় সেই দেশের ফলাফল। ৩) সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন থেকে সেই দেশ কত টাকা আয় করছে। তিনি বলেন, ‘‘ভারতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা অন্য সব দেশের থেকে বেশি। ভারত থেকে সব থেকে বেশি রোজগার হয় আইসিসির। তাই লভ্যাংশের সিংহভাগ যে বিসিসিআই পাবে তাতে অন্যায়ের কিছু নেই। অন্যান্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডও এ বার আগের থেকে বেশি টাকা পাচ্ছে।’’