আফগানিস্তানে খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলায় সাহায্যের হাত ভারতের। মঙ্গলবার দিল্লিতে মধ্য এশিয়ার পাঁচ দেশের সঙ্গে এক বৈঠকে ভারত সরকার জানিয়েছে, ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আফগানিস্তানে ২০ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানো হবে।
কূটনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য , পাকিস্তানকে এড়ানোর উদ্দেশ্যেই ইরানের চাবাহার সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করছে মোদী সরকার। কারণ,ইতিমধ্যে অতীতে পাক সড়কপথে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠাতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে ভারতকে। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি অনুসরণ করেই আফগান জনতাকে সাহায্যের এই পদক্ষেপ।
নয়াদিল্লির ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের প্রতিনিধিরা এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের মাদক এবং অপরাধ (ইউএনওডিসি) দফতরের প্রতিনিধিরাও। বৈঠকে আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ব্যবহারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের আগস্টে তালিবানের ক্ষমতা দখলের পরে পরেই কাবুলের সঙ্গে নয়াদিল্লি নানান কূটনৈতিক যোগাযোগ কার্যত ছিন্ন করলেও আফগান জনগণকে ধারাবাহিক ভাবে মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও কিছুটা উন্নতি হয়। আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখলের পরে সে দেশে ভারতের আর্থিক সহায়তায় চালু হওয়া অধিকাংশ প্রকল্পের কাজই বন্ধ হয়েছিল। তবে সরকারি সূত্রের খবর, তালিবান বার্তা দিয়েছে ভারত আফগানিস্তানে অন্তত ২০টি প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারে।
গত মাসে বাজেট বক্তৃতায় ভারত অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, এ বার আফগানিস্তানকে সাহায্য করার জন্য ধার্য করা হয়েছে পঁচিশ লক্ষ ডলার (প্রায় ২১ কোটি টাকা)। তালিবান সরকারের মুখপাত্র সোহেল সাহিন নয়াদিল্লির সহায়তার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আফগানিস্তানকে দেওয়া ভারতের উন্নয়ন প্যাকেজে আমরা খুশি। ওই সাহায্যের জন্য ভারতকে ধন্যবাদ। এর ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।”