বৈশাখ মাস তবু ও দেখা নেই কালবৈশাখীর, যদিও কালবৈশাখী অনেক দূর এখনও পর্যন্ত দেখা মেলেনি বৃষ্টির। এদিকে হাসফাস করছে কলকাতাবাসী, পারদ চড়ছে, ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। দিল্লিতে বর্তমান প্রায় ৪২ ডিগ্রির কাছাকাছি । বিশেষজ্ঞদের মতে গোটা মার্চ মাস জুড়ে থাকবে এইরকম গরম, যাতে নাজেহাল হবে সাধারণ মানুষ। কিন্তু এখানেই চিন্তার ভাঁজ আবহাওয়াবিদদের , তাদের মতে এই রকম চলতে থাকলে পাল্টে যেতে পারে জলবায়ু যা এক অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।
সময়ে বৃষ্টি নেই আবার অসময়ে নিন্মচাপে প্রবল বৃষ্টি।২৫ ফেব্রু়ারিতে শেষ বারের মতো বৃষ্টি হতে দেখা গেছে তারপর আর দেখা নেই বৃষ্টির। কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে আবহাওয়া ও বিজ্ঞানীরা । বিজ্ঞানীদের মতে অতিরিক্ত বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পরিবর্তন ঘটছে জলবায়ুর। যার ফলস্বরুপ বৈশাখএও দেখা নেই বৃষ্টির একটি ফোটাও। কোনদিকে যাচ্ছে পরস্থিতি।
কি এই বিশ্ব উষ্ণায়ন?
অতিরিক্ত দূষণ, যা পৃথিবীকে অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখা ওজন স্তর কে নষ্ট করে দিচ্ছে। ফলে সূর্যের আলো এসে পড়ছে পৃথিবীতে। আবার গাছ কাটা হচ্ছে অবিরাম, যার ফলস্বরুপ উষ্ণ হচ্ছে পৃথিবী । সরাসরি ভাবে আসা সূর্য রশ্মিকে আটকানোর জন্য ক্ষমতাবান অস্ত্রগুলিকে নষ্ট করে দিচ্ছে মানুষ।যার ফলে বাড়ছে গরম,দেখা মিলছে না বৃষ্টির।বিজ্ঞানীরা বলছেন অতিরিক্ত গাছ কাটার ফলে গরম বাড়ছে। ধ্বংস হচ্ছে ওজন স্তর, বাড়ছে জল স্তর। আগামী ৫০ বছরের মধ্যে জলের তলায় যেতে পারে কলকাতা সহ অনেক জায়গা। পরিবর্তন ঘটছে জলবায়ুর।
তবে কি এর প্রতিকার?
গীতায় বলা আছে প্রতিটি সমস্যা সমাধানের সাথেই আসে। ঠিক তেমনি এই সমস্যার সমাধান আছে সেটি একটাই – গাছ লাগানো ।গাছ লাগালে রোদ সরাসরি পড়বে না পৃথিবীতে। আমরা এমনিতেই দেখতে পাই যেখানে গ্রাম অঞ্চল বা গাছপালা বেশি সেখানে পরিবেশ ঠাণ্ডা থাকে ঠিক সেইরকম ভাবেই বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে রক্ষা পেতে লাগাতে হবে গাছ।
যদিও আশ্বাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর কয়েকদিনের মধ্যেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে কয়েক জেলায়, যা যথেষ্ট স্বস্তি দিচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ বাসীদের। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে।যদিও তাকে কালবৈশাখী বলে চিহ্নিত করেছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে নামবে পারদও।