আধুনিক চলচ্চিত্র জগতের নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন ফরাসি-সুইস পরিচালক জঁ লুক গোদার। ‘ব্রেথলেস’, ‘কন্টেম্পট’- এর মত নিরীক্ষামূলক ছবিতে ফ্রান্সে ‘নিউ ওয়েভ’ বা নব্য ধারায় চলচ্চিত্রের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। বার্ধক্যজনিত নানান ব্যাধিতে জর্জরিত হয়ে ৯১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন পরিচালক।
মধ্যবিও এই শহরে সত্যজিৎ রায়ের পাশাপাশি সকলেই অল্পবিস্তর গোদরের নাম শুনেছেন। কম বয়স থেকেই ‘কাইহুর দু সিনেমা’ পত্রিকার বিখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক আন্দ্রে বাজাঁর ভক্ত ছিলেন গোদার। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও মন টেকেনি তাঁর। এক দল সিনেমাপ্রেমী জুটিয়ে দল বানিয়ে নিয়েছিলেন। নানা তর্ক-বিতর্ক-দর্শন চলত। তবে ১৯৬০ সালে ‘ব্রেথলেস’ ছবিটা বানিয়ে যেন সকলের মন জয় করেছিলেন তিনি। তাঁর আগে সিনেমা মানেই সকলে বুঝতেন হলিউড। হলিউড মানেই ‘এমজিএম’, ‘ফক্স’, ‘প্যারামাউন্ট’-এর মতো হাতেগোনা কিছু তাবড় প্রযোজনা সংস্থা। হলিউডের একাধিক ব্যাকরণ ভেঙে নতুন নিয়ম-কানুন তৈরি করেছিলেন গোদার।
গোদারের মৃত্যুর কলকাতায় মুক্তি পেতে চলেছে অমর্ত্য ভট্টাচার্য পরিচালিত ওড়িয়া ছবি ‘আদিউ গোদার’। ছবির কেন্দ্রে রয়েছে এক পর্নপ্রেমী প্রৌঢ়ের আচমকা গোদার-দর্শনের কাহিনি। কারণ, গোদারের হাত ধরেই সিনেমায় প্রথম উঠে এসেছিল যৌনতা। গোদার স্বয়ং বলেছিলেন, চলচ্চিত্রে যৌনতার অনুপুঙ্খ উপস্থাপন বাস্তবতার পিছনে লুকিয়ে থাকা বিষয়গুলিকে তুলে আনতে পারে। অর্থাৎ, এক কথায় বলা যেতে পারে চলচ্চিত্রে নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন গোদার।